Monday, November 10, 2025

বিজেপি মিথ্যাচারী, ফের একবার প্রমাণ হয়ে গেল। বাংলার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে নকল করে দিল্লিতে ভোট কিনেছিল বিজেপি। ভোট ফুরোতেই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ। মোদি-শাহদের ভাঁওতাবাজি আবার একবার ধরা পড়ে গেল। মোদি গ্যারান্টির কী মহিমা নিজের চোখে দেখল দিল্লিবাসী। মিথ্যাচার আর ভাঁওতাবাজির দৃষ্টান্ত স্থাপন করে বিজেপি বোঝাল, তারা শুধুই ভোটপাখি, মানুষের উন্নয়ন তারা চায় না। একইসঙ্গে দেশবাসীর কাছে স্পষ্ট হয়ে গেল, কথা রাখার একমাত্র নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিই পারেন। কথা দিলে কথা রাখেন।

দিল্লি বিধানসভার নির্বাচনী প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেছিলেন, বিজেপি ভোটে জিতলে ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারীদিবসে মহিলাদের সবাইকে আড়াই হাজার টাকা করে অনুদান দেবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, প্রতিশ্রুতিই সার। ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারীদিবসে প্রকল্প চালুর সিদ্ধান্ত দিল্লি সরকারের মন্ত্রিসভার বৈঠকে গ্রহণ করা হল ঠিকই, কিন্তু সেই টাকা সবাই পাবেন না। মহিলা ভাতার ক্ষেত্রে শর্ত আরোপ করল দিল্লির সরকার। কবে থেকে টাকা দেওয়া হবে, তাও স্পষ্ট নয়।

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, চার সদস্যের কমিটি গঠন করছি প্রকল্পের রূপরেখা স্থির করতে। এই প্রকল্পে থাকছে কিছু শর্ত। ২১ থেকে ৬৫ বছর বয়সী দারিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারী পরিবারের একজন করে মহিলা এই সুযোগ পাবেন। যাঁদের আয় বছরে আড়াই লক্ষ টাকার কম সেই মহিলারাই শুধু ভাতা পাবেন। একই পরিবারের একাধিক মহিলা সদস্য থাকলে তাঁরা অনুদান পাবেন না। অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার যেমন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দেন সমস্ত মহিলাদের, দিল্লির বিজেপি সরকার মহিলাদের ভাতা দেবে পরিবারের একজনকে। তাও সমস্ত পরিবার এই পরিষেবার আওতায় আসবে না। বিজেপি সরকারের এই সিদ্ধান্তে বিরোধীরা নরেন্দ্র মোদিকে মিথ্যাচারী আখ্যা দিয়েছে।

বিরোধীদের কথায়, প্রতিশ্রুতি রাখেননি মোদি। টাকার বদলে মহিলারা পেলেন কমিটি। দিল্লির মানুষকে ভাঁওতা দিল বিজেপি। তারা মোদির গ্যারান্টিতে বিশ্বাস করে ভোট দিয়েছিলেন, ভোটের পর পুরোটাই ঘাড় ধাক্কা খেলেন। বিজেপি যে মানুষের কথা ভাবে না, তা আজ জলের মতো পরিষ্কার হয়ে গেল আবার। মোদি গ্যারান্টি আসলে জুমলা। মোদিজি ভোট পাওয়ার জন্য জুমলার রাজনীতি করেন। ভোটে জয়ী হয়ে সরকার গঠনের পরই বারবার প্রতিশ্রুতি রক্ষার কথা ভুলে যান। সবার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়া থেকে শুরু করে বছরে ১ কোটি চাকরি, বিনা পয়সায় গ্যাস, মহিলা ভাতা— সবকিছুতেই তার জুমলাবাজি। তাই এবার মোদি গ্যারান্টি থেকে সাবধান।

বাংলাই পারে। পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। একুশের ভোটের আগে তিনি কথা দিয়েছিলেন। সেই কথামতো কুর্সিতে বসেই প্রথম তিনি সকল মহিলার জন্য লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চালু করেছেন। যা আজও অবিরত বাংলার লক্ষ্মীরা তাদের অ্যাকাউন্টে সম্মানস্বরূপ পেয়ে চলেছেন। যতদিন বাঁচবেন, ততদিন পাবেন।

 

Related articles

অচলায়তন ভেঙে মুক্ত চিন্তাভাবনার অঙ্গন হবে বাংলা: রাখি-রিয়াকে শুভেচ্ছা তরুণদের আইকন অভিষেকের

তিনি যুব সমাজের আইকন। তৃণমূলের (TMC) সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) ঘিরে সব সময়ই তরুণ প্রজন্মের জনজোয়ার। আর...

পাঁচবারের কাউন্সিলর, তবু নাম উড়ে গেল ভোটার তালিকা থেকে! চাঞ্চল্য খড়দহে

শেষবার এসআইআর হয়েছিল ২০০২ সালে। সেই তালিকায় তাঁর নাম যে ছিল, তার প্রমাণ, সেবার তিনি কাউন্সিলর (councilor) নির্বাচিত...

চেন্নাই ছেড়ে দিচ্ছে জাদেজাকে! জল্পনার মধ্যেই উধাও ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলও

আগামী ১৫ ডিসেম্বর আইপিএলের মিনি নিলাম(IPL Mini Auction 2026) হতে পারে। গত বছরই মেগা নিলাম হয়েছে। ফলে সব...

ইডেনে টি২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল! আশার সঙ্গে রয়েছে আশঙ্কাও

টি২০ বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবনা শুরু হয়ে গিয়েছে বোর্ডের অন্দরে।  ইতিমধ্যেই প্রাথমিকভাবে কয়েকটি ভেন্যুকে বেছে নিয়েছে বিসিসিআই। বাংলার ক্রিকেটপ্রেমীদের...
Exit mobile version