Saturday, December 20, 2025

হাতজোড় করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকলেন ওমপ্রকাশ, ক্যাম্পাসে সাদা পোশাকে কলকাতা পুলিশ!

Date:

Share post:

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবকুপার বার্ষিক সাধারণ সভা ঘিরে অশান্তির পরে সোমবার নিজের বিভাগে ঢুকলেন ওমপ্রকাশ মিশ্র (Om Prakash Mishra)। তাঁকে ঢুকতে বাধা দিয়ে প্ল্যাকার্ট হাতে দাঁড়িয়ে থাকেন একদল ছাত্র-ছাত্রী। হাতজোড় করে সেই বাধা পেরিয়ে ঢোকেন তিনি। এদিক, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের মধ্যে রয়েছেন সাদা পোশাকের পুলিশ আধিকারিক-সহ পুলিশ কর্মীরা। ওমপ্রকাশের ঘরের বাইরেও সাদা পোশাকের মহিলা পুলিশকর্মীরা উপস্থিত।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) ছিল ওয়েবকুপার বার্ষিক সাধারণ সভা। এই কর্মসূচিতে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর (Bratya Basu) বক্তব্য রাখতে শুরু করলেই অভব্য আচরণ শুরু করে বাম-অতিবাম সংগঠনগুলি। চেয়ার ভাঙচুর করা হয়। আক্রমণ করা হয় অধ্যাপকদের। বহু অধ্যাপক আক্রান্ত হন। আহত হন দুই পড়ুয়াও। কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High court) নির্দেশে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আহত পড়ুয়া ইন্দ্রানুজ রায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে  বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে পুলিশ। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) ও অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্রের (Om Prakash Mishra) বিরুদ্ধে FIR দায়ের করা হয়।

সেই ঘটনার পরে এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা। সেই বৈঠকের যোগ দিতে গেলে ওমপ্রকাশকে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। ঢোকার চেষ্টা করতে দেখা যায় তাঁকে। তাঁকে আটকানোর চেষ্টা করেন পড়ুয়াদের একাংশ। প্ল্যাকার্ড হাতে চলে স্লোগান। ওমপ্রকাশ হাতজোড় করে বলেন, “কাইন্ডলি আমাকে যেতে দিন। আমার যাওয়াটা দরকার।“ হাতজোড় করেই নিজের ঘরে ঢোকেন তিনি। ওমপ্রকাশ ঘরে ঢোকার পরে বাইরে প্ল্যাকার্ড হাতে বসে পড়েন পড়ুয়ারা। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খারিজ করে ওমপ্রকাশ বলেন, তাঁকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। ঘটনার দিন তাঁকেই শারীরিকভাবে হেনস্থা করে পড়ুয়ারা।
আরও খবর: ফের সমবায় সমিতির নির্বাচনে তৃণমূলের জয়জয়কার, ব্যাকফুটে বিরোধীরা

এই পরিস্থিতিতে ক্যাম্পাসের বাইরে ও ভিতরে রয়েছে পুলিশ বাহিনী। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে রয়েছেন সাদা পোশাকের পুলিশ। ওমপ্রকাশ মিশ্রের ঘরেও সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তবে, এই বিষয়ে ওমপ্রকাশ জানান, এই পুলিশ মোতায়েনের বিষেয় তাঁর কিছু জানা নেই। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ তিনি ডাকেননি।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গোলমাল নিয়ে মামলায় হাইকোর্টে বিচারপতি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এদিকে এদিন বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে পুলিশ ঢোকা নিয়ে ক্ষুব্ধ এসএফআই। ক্যাম্পাসে পুলিশের আসা নিয়ে সহ-উপাচার্যের কাছে অভিযোগ জানাতে যান পড়ুয়ারা। সহ উপাচার্য জানান, পুলিশ কে ডেকছে- তাঁর জানা নেই। ওমপ্রকাশ মিশ্রও বলেন, “পুলিশ কেন এল, সে সম্পর্কে আমার কোনও ধারণা নেই।”

spot_img

Related articles

বিজয় হাজারে ট্রফির প্রস্তুতিতে সমস্যা বাড়ল বাংলা দলের

বিজয় হাজারে ট্রফি জয়ের লক্ষ্যে অনুশীলন শুরু করে দিয়েছে বাংলা। কিন্তু প্রথম দিন মাঠে যেতেই সমস্যার সম্মুখীন হতে...

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দায়িত্ব বাড়লো অক্ষরের, ওয়াইল্ড কার্ডে চমক দিলেন ঈশান!

বছর ঘুরলেই ক্রিকেটপ্রেমীদের নজরে বাইশ গজে কুড়ি-কুড়ি বিশ্বকাপের লড়াই (T20 World Cup 2026)। পূর্ব ঘোষণা মতোই শনিবার ২০২৬...

We want East Bengal Back: মোদির সভায় কী বাংলাদেশ দখলের ডাক!

প্রতিবেশী বাংলাদেশে অস্থির পরিস্থিতি। রাজনৈতিক নেতা থেকে মৌলবাদী নেতারা বারবার ভারত-বিরোধী ডাক দিচ্ছেন। আক্রান্ত হচ্ছে ভারতের দূতাবাস। তা...

SIR-এ বিপদে পড়া মানুষদের জন্য একটি শব্দ নেই! মোদির বৈঠকে কটাক্ষ তৃণমূলের

মতুয়া গড়ে এসআইআরে বাদ মতুয়া সম্প্রদায়ের বহু মানুষের নাম। সেই পরিস্থিতিতে রানাঘাটের মানুষের জন্য কী বার্তা দেবেন প্রধানমন্ত্রী...