বাংলায় ৪০ হাজার কোটির লগ্নি এসেছে ২০২৪-এ, কেন্দ্রের রিপোর্ট

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় উজ্জ্বল বাংলার শিল্প ভবিষ্যৎ। বাংলায় শিল্পের দুয়ার খুলে গিয়েছে বিগত ১৫ বছরে। বিপুল পরিমাণ বিদেশি বিনিয়োগ আসছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এতদিন যে দাবি করে আসছিল, তাকে মান্যতা দিল কেন্দ্রের রিপোর্টই। এখন কেন্দ্রই বলছে, বিগত ১১ মাসে বাংলায় ৪০ হাজার কোটি টাকা লগ্নি এসেছে। এতদিন যাঁরা বাংলায় শিল্পের লগ্নি শুনে টিপ্পনি কাটছিলেন, তারা এবার কী বলবেন! মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাফল্যকে মান্যতা দিতে বাধ্য হচ্ছে কেন্দ্রের সরকার।

সম্প্রতি বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে বিপুল পরিমাণ লগ্নির প্রস্তাব এসেছে বাংলায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিপুল বিদেশি বিনিয়োগ আশার আলো এনেছে বাংলার অর্থনীতিতেও। কেন্দ্রের পরিসংখ্যান বলছে, বাংলায় ২০২৪ সালের প্রথম ১১ মাসে শিল্প এসেছে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার। ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পকে এই তালিকায় আনা হয়নি। মূলত বড় শিল্পের কথাই বলা হয়েছে এই পরিসংখ্যানে। কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রক এই রিপোর্টেই মেনে নিয়েছে বাংলার শিল্প ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হয়ে উঠছে। সম্প্রতি বার্ষিক রিপোর্টে প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। সেখানে বলা হয়েছে, ২০২৪-এর জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বাংলায় বিনিয়োগ এসেছে ৩৯ হাজার ১৩৩ কোটি টাকা। মোট ২৯টি সংস্থা বাংলায় এই বিনিয়োগ করেছে।

বিগত চার বছরের তুলনায় এবারের লগ্নির পরিমাণ অনেকটাই বেশি। বিগত চার বছরে বাংলায় লগ্নি এসেছিল যথাক্রমে ৯ হাজার ৫৫২ কোটি, ৫ হাজার ৫৩৫ কোটি, ৪ হাজার ৫৩২ কোটি এবং ৬ হাজার ৪৮৪ কোটি টাকা। এবার লগ্নি সেই সম্মিলিত টাকারও দ্বিগুণ। তারপর আবার ২০২৫-এর জানুয়ারিতে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে ৪.৪০ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে। বিপুল এই বিনিয়োগে বাংলার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎই দেখছে বণিক মহল। প্রমাণিত রাজ্যের ভাবমূর্তি বিশ্বের দরবারে ক্রমশ উজ্জ্বল হচ্ছে। কেননা বিনিয়োগকারীরা রাজ্যের পরিবেশ-সহ শিল্প-পরিকাঠামো, রাজনৈতিক বাতাবরণ ইত্যাদি দেখেই লগ্নি করেন।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে শিল্পের তদারকি করছেন, প্রশাসনিক জটিলতা কমিয়ে দিয়েছেন এক জানালা সিস্টেমে এবং সমস্ত ছাড়পত্র একলপ্তে পেয়ে যাচ্ছেন শিল্পপতিরা, তাতে সন্তুষ্ট শিল্প মহল। রাজনৈতিক প্রতিবন্ধকতা দূর করে শিল্প নিয়ে রাজ্যের উজ্জ্বল ভাবমূর্তি বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার ফলেই স্বদেশি ও বিদেশি বিনিয়োগের জোয়ার আসছে বাংলায়। বাংলার এই সাফল্য তাই আর অস্বীকার করার জায়গায় নেই কেন্দ্র। কেন্দ্রের রিপোর্ট তারই বহিঃপ্রকাশ।