শহরতলি এলাকায় যানজট আর দুর্ঘটনা রোধেযানজট আর দুর্ঘটনা রোধে এবার টোটো চলাচলে নিয়ন্ত্রণ আনতে চাইছে রাজ্য প্রসাশন। এ-বিষয়ে পরিবহণ দফতর একটি নীতি তৈরি করছে। বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী একথা জানিয়েছেন। শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের প্রশ্নের উত্তরে পরিবহণমন্ত্রী জানান, শিলিগুড়ি শহরে যানজট সমস্যা মেটাতে ৭ হাজার অ-রেজিস্ট্রিকৃত টোটো নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করার কথা ভাবা হচ্ছে।

মন্ত্রী জানান, প্রচুর যুবক সংসার চালানোর জন্য টোটো রাস্তায় নামায়। কিন্তু অনিয়ন্ত্রিতভাবে টোটো চালানোয় যানজট হয়। তাই টোটোর জন্য পৃথক গাইডলাইন তৈরি করা হচ্ছে। সরকার কিছু গাইড লাইন তৈরি করে টোটো নিয়ন্ত্রণ করার ও যানজট কমানোর চেষ্টা করছে। স্বীকৃত টোটো স্টিকার দিয়ে চিহ্নিত করা হচ্ছে। জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন, পুরসভা, ইউনিয়নগুলি বসে স্থানীয়ভাবে রুট ঠিক করবে। যাতে টোটো মূল রাস্তায় না এসে ভেতরের রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। এর সঙ্গে শিলিগুড়ি শহরের সঙ্গে সঙ্গেই সারা রাজ্যের জন্য টোটো-নীতি তৈরি করছে পরিবহণ দফতর।

বিধায়কের প্রশ্নের উত্তরে পরিবহণমন্ত্রী আরও জানান, শিলিগুড়ি শহরে রেজিস্ট্রিকৃত ৪০০০ রিকশা চলে, সেগুলোকে কিউআর কোড দিয়ে নির্দিষ্ট রাস্তায় চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া শিলিগুড়িতে আন্তঃরাজ্য ও আন্তঃরাজ্য বাস টার্মিনাস তৈরির ভাবনার কথাও পরিবহণমন্ত্রী বিধানসভায় এদিন জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই শহরতলি এবং জেলায় অস্বাভাবিক হারে টোটো বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। টোটো নিয়ন্ত্রণে নির্দিষ্ট গাইডলাইন তৈরি করতেও তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। তবে তা কখনওই কাউকে কর্মহীন করে নয়।
আরও পড়ুন – সুষ্ঠুভাবে দোল-হোলি পালনে সতর্ক পুলিশ-প্রশাসন, কড়া নজর মুখ্যমন্ত্রীর

_

_

_

_

_

_

_