Sunday, November 16, 2025

কৃষকদের সার্বিক উন্নয়নই লক্ষ্য, খতিয়ান দিয়ে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

Date:

নন্দীগ্রাম দিবস কৃষক দিবসও। কৃষি-জমি রক্ষা আন্দোলনে হার্মাদ বাহিনীর হামলায় নন্দীগ্রাম ঝরে গিয়েছিল তরতাজা ১৪ প্রাণ। সেই থেকে নন্দীগ্রাম দিবস কৃষক দিবস হিসেবেও পালিত হচ্ছে। শুক্রবার বাংলার কৃষক ভাই-বোন ও তাদের পরিবারকে শুভেচ্ছা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, কৃষির সার্বিক উন্নয়নে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বাংলার মা-মাটি-মানুষের সরকার। একইসঙ্গে তিনি তুলে ধরলেন কৃষকদের উন্নয়নের পরিসংখ্যান ও খতিয়ান।

মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, আমাদের কৃষকরা সারাবছর অক্লান্ত পরিশ্রম করে আমাদের মুখে অন্ন তুলে দেন। আমি তাঁদের পরিশ্রমকে কুর্নিশ জানাই। তাঁরাই আমাদের গর্ব। তাই আমাদের সীমিত ক্ষমতায় যতটা করা সম্ভব আমরা বাংলার কৃষক ভাই-বোনেদের জন্য করার চেষ্টা করি। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি জানান, ‘কৃষকবন্ধু’ (নতুন) প্রকল্পে আমরা আর্থিক সহায়তা দিচ্ছি। এই প্রকল্পে আর্থিক সহায়তা দ্বিগুণ করে বছরে ১০,০০০ টাকা দেওয়া হয়। যাদের এক একর বা তার বেশি জমি রয়েছে তাঁরা এই টাকা পান। এক একরের কম জমি রয়েছে যাদের, তাঁরা পান ৪,০০০ টাকা। ২০১৯ থেকে এখন পর্যন্ত মোট ২৪০৮৪ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে কৃষকদের দুই কিস্তিতে, খরিফ আর রবি মরশুমে সরাসরি কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয় আর্থিক সহায়তা। এর ফলে উপকৃত হয়েছেন মোট এক কোটি আট লক্ষেরও বেশি নথিভুক্ত ভাগচাষি-সহ কৃষক।

এছাড়া কর্মরত কৃষকদের মৃত্যুতে মৃত্যুজনিত সহায়তাও দেয় আমাদের সরকার। ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী কৃষকের মৃত্যুতে এককালীন ২ লক্ষ টাকা সহায়তা দেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত ১ লক্ষ ৩৫ হাজারেরও বেশি কৃষক পরিবারকে ২৭০৭ কোটি টাকা মৃত্যুকালীন সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

এছাড়াও পাঁচ লক্ষের বেশি আধুনিক কৃষিযন্ত্র প্রদান করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ভর্তুকি সহায়তার পরিমাণ ১০২৭ কোটি টাকার বেশি। কৃষকদের বিপর্যয়ে রক্ষাকবচ হিসেবে বাংলা শস্য বিমা যোজনা চালু করেছে সরকার।
প্রিমিয়ামের পুরো খরচ রাজ্য সরকার দেয়, চাষিদের যে-কোনও ফসলের বিমা বাবদ কিছুই দিতে হয় না এখন থেকে আলু ও আখ চাষিদেরও কোনও প্রিমিয়াম দিতে হয় না। সরকারি সাহায্যে ২২৭৮টি কৃষিযন্ত্রাদি ভাড়া কেন্দ্র এই রাজ্যের কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে ও গ্রামের যুবকদের স্ব-রোজকারের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। তাছাড়া ফসলের অভাবী বিক্রি রোধে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ফসল সংগ্রহের জন্য ক্রয়কেন্দ্রে ধান ক্রয় করা হচ্ছে। এ বছরের লক্ষ্যমাত্রা ৭০ লক্ষ মেট্রিক টন করা হয়েছে। অন্যান্য ফসলের ন্যায্য মূল্যে ক্রয়ের ব্যবস্থাও রয়েছে সেখানে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সাল থেকে বাংলার সরকার সম্পূর্ণ নিজের অর্থে ‘বাংলা শস্যবিমা প্রকল্প’ চালু করেছে। ১১২ লক্ষ কৃষক ৩৫৬৪ কোটি টাকারও বেশি ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষকের অধিকার আমাদের অঙ্গীকার। তাদের সার্বিক উন্নয়ন ঘটানোই আমাদের লক্ষ্য।

 

Related articles

২৪ ঘণ্টা পার: উত্তরপ্রদেশে পাথরখনি ধসে আটকে ১৫ শ্রমিক! মৃত ২

নিয়ম না মেনে খনিতে বিস্ফোরণ ঘটানো। তার জেরে বড় সড় ধস উত্তরপ্রদেশের শোনভদ্রের পাথর খনিতে (stone quarry)। শুক্রবার...

লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণস্থলে সেনা কার্তুজ উদ্ধার! উৎস নিয়ে বাড়ছে ধোঁয়াশা 

দিল্লির লালকেল্লার কাছে গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনায় (Car blast near Red fort) এবার এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এল। রবিবার...

বিহারে হঠাৎ বাড়ল ৩ লক্ষ ভোটার! কমিশনের তথ্যেই কারচুপি প্রমাণিত

বিহার নির্বাচনে বিজেপির অস্ত্র নির্বাচন কমিশন। বারবার নির্বাচনের আগে বিরোধী দলগুলি সেই অভিযোগেই সরব ছিল। বিহারে এসআইআর (Bihar...

বাংলাদেশের জেলে কাকদ্বীপের মৎস্যজীবীর রহস্যমৃত্যু, পরিকল্পনা করে খুন! অভিযোগ পরিবারের

'ভুলবশত' বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক জলসীমা (Bangladesh water border) অতিক্রম করে প্রতিবেশী রাষ্ট্রে ঢুকে পড়েছিল কাকদ্বীপের মৎস্যজীবী। ৩২ বছরের বাবলু...
Exit mobile version