অক্সফোর্ডের পর কুইন মেরি ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন থেকেও বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ

বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াইয়ের গল্প শুনতে চায় কুইন মেরি ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন (Queen Mary University of London invites wb cm Mamata Banerjee)। অক্সফোর্ডের পর এবার সেখানে বক্তৃতা দেওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হলো মমতাকে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই নবান্নে চিঠি পাঠিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আগামী ২১ মার্চ ব্রিটেন যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে এবারের বিদেশ সফরে ঠাসা কর্মসূচির মাঝে নতুন করে আর কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব হবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। এর পাশাপাশি লন্ডন স্কুল অফ ইকনমিক্সের (London School of Economics) প্রাক্তন পড়ুয়াদের তরফেও আলোচনাসভায় বক্তৃতার জন্য নবান্নে আমন্ত্রণ এসেছে বলে সোমবার রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে।

কুইন মেরি ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনের প্রায় পঁয়ষট্টি শতাংশ পড়ুয়া কৃষ্ণাঙ্গ, এশীয় এবং সমাজের অনগ্রসর সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি। লন্ডনের এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন অনেক পরিবারের সন্তানরা পড়াশোনা করেন যাঁরা সমাজের পিছিয়ে পরা শ্রেণী। উচ্চশিক্ষার জন্য ছোটবেলা থেকেই তাঁদের অদম্য লড়াই করতে হয়েছে। তাই তাঁদের কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবন কাহিনী আর লড়াই এর কথা তুলে ধরতে চাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যেভাবে সব বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী অদম্য জেদ, আত্মবিশ্বাস আর জীবনী শক্তির মাধ্যমে বাংলাকে উন্নীত করেছেন, পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের স্বনির্ভরতাকে বিশ্ববন্দিত করে তুলতে পেরেছেন তা পড়ুয়াদের জানা দরকার। সে কারণেই কুইন মেরি ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনের তরফে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। নবান্ন সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রসংঘে ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্পের সম্মান প্রাপ্তির উল্লেখ করে আমন্ত্রণপত্রে লেখা হয়েছে, ‘মহিলা কেন্দ্রিক প্রকল্প ও উদ্যোগের জন্য বাংলা আজ গোটা বিশ্বের কাছে উদাহরণ হয়ে উঠতে পেরেছে। বিশ্বজুড়ে যখন গণতন্ত্র ক্রমেই জমি হারাচ্ছে, মেরুকরণের রাজনীতি প্রাধান্য পাচ্ছে ঠিক তখন আপনি, আপনার দল জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের ভোটে নির্বাচিত হচ্ছেন। সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মহিলা প্রতিনিধি সংসদে পাঠাচ্ছেন। কীভাবে এই অসম্ভবকে সম্ভব হচ্ছে, তা আপনার মুখ থেকেই আমাদের ছাত্রছাত্রীরা শুনতে চায়। যাতে ভবিষ্যতে এই সমস্ত প্রকল্প, উদ্যোগ তাঁরাও দেশজুড়ে বাস্তবায়ন করতে পারে।’

বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর এবারের শহরে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি, পর্যটন, অর্থনীতি থেকে শুরু করে রাজ্যের উন্নয়ন প্রকল্পের কথা তুলে ধরবেন। পাশাপাশি শিল্প বৈঠক করার সম্ভবনাও রয়েছে। এখনও পর্যন্ত যা সূচি নির্ধারিত হয়েছে তাতে আগামী ২৯ মার্চ কলকাতায় ফিরবেন মমতা। এর মাঝে কুইন মেরি ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনের আমন্ত্রণে সেখানে যাবেন কিনা তা নিয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু জানা যায়নি।