কেন্দ্রীয় সরকারের আইন আনার আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমবঙ্গ সরকার রূপান্তরকামীদের জন্য একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। রাজ্যের নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা মঙ্গলবার বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের অধিকার সুনিশ্চিত করার জন্য নানা কার্যক্রম চালু হয়েছে।

মন্ত্রীর মতে, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের পেনশন বা আর্থিক সুবিধার চেয়ে তাঁদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সম্মান। রাজ্য সরকার তাদের এই সম্মান প্রদানের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যার মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো অন্যতম। এর উদাহরণ হিসেবে তিনি রূপান্তরকামী মানবী বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা উল্লেখ করেন, যিনি একটি কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে কাজ করছেন।

২০১৩ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর রাজ্য সরকার তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের অধিকার রক্ষায় প্রথম পদক্ষেপ গ্রহণ করে। পশ্চিমবঙ্গে তাদের জন্য একটি উন্নয়ন পর্ষদও গঠন করা হয়। এছাড়া, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের জন্য ভোটার কার্ডের আবেদন পত্রে আলাদা কলাম সংযোজনের জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন জানায় তৃণমূল কংগ্রেস। কোভিডের সময় তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের জন্য আলাদা টিকাকরণ শিবিরও আয়োজন করা হয়। শশী পাঁজা আরও জানান, রাজ্য সরকার তৃতীয় লিঙ্গের পরিচয়পত্র দেওয়ার প্রক্রিয়া সহজ করেছে। এখন, কোন প্রকার পরীক্ষা নিরীক্ষার প্রয়োজন ছাড়াই জেলাশাসকের কাছে আবেদন জানালেই তৃতীয় লিঙ্গের মানুষরা তাদের পরিচয়পত্র পাবেন। সেল্ফ ডিক্লারেশন বা স্ব-ঘোষণা দিয়েই তারা নিজেদের তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে পরিচয় দাবি করতে পারবেন। এমন উদ্যোগের মাধ্যমে রাজ্য সরকার তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের সামাজিক স্বীকৃতি ও তাদের অধিকার বৃদ্ধির জন্য সচেতনতা সৃষ্টি করতে চায়।

আরও পড়ুন- যাদবপুরকাণ্ড: গ্রেফতার আরও এক ছাত্র! বিক্ষোভ পড়ুয়াদের

_

_

_

_

_

_

_

_