মহাকাশে কীভাবে মলত্যাগ-প্রস্রাব করতেন নভশ্চররা? কেমন ছিল সুনীতাদের ন’মাসের উড়ান

মহাকাশচারীরা দাঁড়িয়ে বা বসে সহজেই এই টয়লেট ব্যবহার করতে পারেন

মাত্র আট দিনের জন্য গিয়েছিলেন মহাকাশে। তারপর নয় নয় করে কেটে গিয়েছে ৯ মাস। অবশেষে বুধবার ঘরে ফিরেছেন তাঁরা। এই দীর্ঘকালীন মহাকাশ ভ্রমণে কীভাবে দিন কাটিয়েছেন সুনীতা-বুচরা? প্রাকৃতিক ক্রিয়াকর্ম অর্থাৎ মলত্যাগ ও প্রস্রাব মহাকাশে কীভাবে করতেন তাঁরা?

সাধারণ মানুষের মনে এই প্রশ্ন শুধু আজকের নয়, বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় থেকেই মহাকাশচারীরা মহাকাশে পাড়ি দিচ্ছেন। গড়ে উঠেছে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন। সেখানে গিয়ে মহাকাশচারীরা গবেষণা করছেন। কিন্তু মহাকাশে তাঁরা কীভাবে মলত্যাগ ও প্রস্রাব করেন? এ জবাব মহাকাশ বিজ্ঞানীরা এর আগেও বহুবার দিয়েছেন। আর কয়েক বছর আগে সুনীতা উইলিয়ামস মহাকাশ ভ্রমণের সময় একটি ভিডিও শেয়ার করেছিলেন। সেখানে তিনি দেখিয়েছেন কীভাবে জল পান করেন, কীভাবে টয়লেট বা বাথরুমে যান ইত্যাদি ইত্যাদি। মহাকাশে স্টেশনে নভোচারীদের জন্য একটি বিশেষ টয়লেটের ব্যবস্থা রয়েছে। তা দেখতে সাধারণ টয়লেটের মতো‌। কিন্তু এটি আদতে একটি ভ্যাকুয়াম টয়লেট। এই ভ্যাকুয়াম টয়লেটে, ত্যাগ করা বর্জ্য ভ্যাকুয়াম বলের সাহায্যে বাতাসের মাধ্যমে ট্যাঙ্কে নিয়ে যাওয়া হয়। মহাকাশচারীরা দাঁড়িয়ে বা বসে সহজেই এই টয়লেট ব্যবহার করতে পারেন।

মহাকাশে প্রস্রাব করার জন্য একটি ভ্যাকুয়াম পাইপ ব্যবহার করা হয়। মহাকাশযানেও এই বন্দোবস্ত থাকে। প্রস্রাব ও মলত্যাগের জন্য পৃথক টয়লেট ব্যবস্থা রয়েছে মহাকাশ কেন্দ্র এবং মহাকাশযানে। থাকে মল ও প্রস্রাব সংরক্ষণের ব্যবস্থাও। যা পুনর্ব্যবহারযোগ্য এবং জল হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
এছাড়া ওই ভিডিওতে সুনীতা উইলিয়ামস আরও দেখিয়েছিলেন, মহাকাশচারীরা থলিতে থাকা নলের সাহায্যে জল পান করেন। ভাসমান অবস্থায় জল পান করার একটি ভিডিও তিনি পোস্ট করেছিলেন। মহাকাশচারীরা স্নান করেন না, একটি ভেজা কাপড় বা বিশেষ তরল দিয়ে শরীর পরিষ্কার করেন। এভাবেই মহাকাশে দিন যাপন করেছেন নভশ্চররা।