অনেক আমন্ত্রণ আসে। কিন্তু প্রশাসন ও রাজনৈতিক কাজে সব জায়গায় যাওয়া হয় না। তবে, কিছ আমন্ত্রণ ফেরানো যায় না। সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেই লন্ডনে যাচ্ছেন বাংলা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। লন্ডনের (London) তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বক্তব্য রাখার আমন্ত্রণ পেয়েছেন তিনি। সঙ্গে রয়েছে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা। সফরসঙ্গী মুখ্যসচিব মনোজ পন্থও (Manoj Panth)। বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে লন্ডন সফর সম্পর্কে বিস্তারিত জানান মমতা। তাঁর অনুপস্থিতিতে প্রশাসনিক কাজকর্ম তদরকিতে রাজ্যের ৫ মন্ত্রীকে নিয়ে টাস্ক ফোর্স (Task Force) গড়ে দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী। পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের নজরদারিতে প্রশাসনিক কাজের ভার থাকবে আমলাদেরও।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বাংলায় বিশ্ব থেকে লোক আসে। কিন্তু কুচক্রীর জন্য জন্য আমার কোথাও যাওয়া হয় না ৩৬৫ দিনই দেখা যায় আমি বাংলায় রয়েছি। ২০২৩-এ লাস্ট বিদেশ গেছিলাম। এই সফর তাও খুব ছোট- চার দিন অনুষ্ঠান। দুদিন যেতে আসতে লাগবে।“

২২ তারিখ লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হবেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। সফর সম্পর্কে তিনি জানান, ”২৪ তারিখ সেখানকার ভারতীয় হাইকমিশনে অনুষ্ঠান, ২৫ তারিখ বাণিজ্য সম্মেলন, ২৬ তারিখ শিল্প নিয়ে সরকারি স্তরে বৈঠক, ২৭ তারিখ অক্সফোর্ডে ভাষণ দেওয়া, ২৮ তারিখ লন্ডন থেকে রওনা দিয়ে দেশে ফিরব। খুব সংক্ষিপ্ত সফর। ব্রিটেন তো আমাদের সঙ্গী, ওদের সঙ্গে বাণিজ্য সংক্রান্ত যোগ আছে। তাই আমন্ত্রণ পেয়ে যাচ্ছি। এটা সরকারের ব্যাপার।” একই সঙ্গে জানান, “সামনে ঈদ বাসন্তী পুজো আছে তাই আমাকে এই সময় আরেকটা দেশে যাওয়ার নিমন্ত্রণ ছিল সেটা আমরা ক্যান্সেল করেছি।“

এর পরেই মুখ্যমন্ত্রী জানান, “আমরা সব সময় টাচে থাকি। এখানে আমার সাথে চিফ সেক্রেটারি যাচ্ছেন। আমাদের ফোন সবসময় খোলা থাকবে। আমি একটা টাস্ক ফোর্স তৈরি করে দিয়ে যাচ্ছি। যদি কোনও প্রয়োজন হয়, তারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে।“

টাস্ক ফোর্সে মন্ত্রীদের মধ্যে থাকবেন,
চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজা, সুজিত বসু, অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম।

প্রশাসনিক আধিকারিকদের মধ্যে থাকবেন,
বিবেক কুমার, প্রভাত মিশ্র, নন্দিনী চক্রবর্তী।

পুলিশ আধিকারিকদের মধ্যে থাকবেন,
রাজীব কুমার ও মনোজ বর্মা।

মুখ্যমন্ত্রী জানান, এঁরা পুরোটা মনিটর করবেন। রেগুলার বৈঠক করবেন। ব্লকগুলিকে দেখবেন। জেলাগুলিকে দেখবেন। কোথাও ঝড় জল হলে দেখবে সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে কথা বলবেন। আইনশৃঙ্খলা পুলিশ দেখবে। বিদেশ সফরের আগে যাওয়ার আগে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের নিয়ে মুখ্যসচিব বৈঠকে করেন।
আরও খবর: মুখ্যমন্ত্রীর লন্ডন সফরে বিশৃঙ্খলা তৈরির ষড়যন্ত্র বাম, অতি বাম, বিজেপির! বিস্ফোরক পোস্ট কুণালের

পাশাপাশি মমতা জানান, তৃণমূলের বিষয় রাজ্যসভাপতি সুব্রত বক্সি ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দেখবেন। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “অনেক সময় অনেক সমস্যা হয়- কে কার সাথে যোগাযোগ করবে? এই জন্যই দল ভাগ করে দেওয়া। কোনওরকম পলিসি ডিসিশন নিতে গেলে কোনও ঘটনা ঘটলে তাঁরা আমাদের সাথে নিত্যনৈমিত যোগাযোগ রাখবে। ওই দেশের সঙ্গে এই দেশের সাড়ে পাঁচ ঘন্টা তফাৎ আছে। জরুরি বিষয় হলেই শুধু ফোন করবে। এটা বলে দেওয়া হয়েছে।“

–

–

–
–