ট্যাংরাকাণ্ডে নাবালকের গোপন জবানবন্দি রেকর্ড আদালতে! তদন্তে নয়া তথ্য?

ট‍্যাংরায় সেদিন দিনভর কী কী ঘটেছিল! একই পরিবারের তিন সদস্য খুনে নাবালকের গোপন জবানবন্দি রেকর্ড হল শিয়ালদহ আদালতে। শিয়ালদহ আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নাবালকের গোপন জবানবন্দি করাতে আবেদন জানিয়েছিল পুলিশ। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই এদিন বয়ান রেকর্ড হল। প্রতীপ এখন এনআরএসে ভর্তি রয়েছে। তার বাবা প্রণয় দে-ও ওই একই হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। সুস্থ হয়ে উঠলে তাঁকেও গ্রেফতার করা হতে পারে।

দে পরিবারের তিন মহিলার খুনের ঘটনায় প্রতীপের কাকা প্রসূন দে-কে আগেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি শিয়ালদহ আদালতে গোপন জবানবন্দিও দিয়েছেন। কিশোরের গোপন জবানবন্দি নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানিয়েছিল পুলিশ। তার শারীরিক এবং মানসিক অবস্থা কেমন রয়েছে, জানতে চেয়ে হাসপাতালের রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় আদালত। তার পরে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই নির্দেশ মেনে শুক্রবার আদালতে আনা হয় প্রতীপকে।

হাসপাতালে একাধিক বার প্রসূনের সঙ্গে কথা বলেছে পুলিশ। তাঁর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, তিনটি খুনই তিনি করেছেন। কিন্তু এর সঙ্গে দাদা প্রণয়ের যোগ রয়েছে বলে তদন্তকারীদের অনুমান। খুনের ষড়যন্ত্রেও তাঁর হাত ছিল। ফলে তাঁকেও হেফাজতে নেওয়া হতে পারে। তাঁর এবং প্রসূনের বয়ানের সঙ্গে নাবালকের বয়ান মিলিয়ে দেখবেন তদন্তকারীরা।

প্রসঙ্গত, গত মাসে বাইপাসে মেট্রোর স্তম্ভে ধাক্কা মারে দে পরিবারের গাড়ি। জখম হন প্রণয় দে, তাঁর ভাই প্রসূন এবং প্রণয়ের নাবালক ছেলে। তদন্তে নেমে ট্যাংরায় দে পরিবারের বাড়ি থেকে সুদেষ্ণা, রোমি ও প্রিয়ম্বদার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, স্ত্রী রোমি, বৌদি সুদেষ্ণা ও নিজের নাবালিকা মেয়ে প্রিয়ম্বদাকে খুনের কথা স্বীকার করে প্রসূন। জেরায় প্রসূন জানান, তিন জনের মৃত্যুর পর গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছিলেন দে পরিবারের দুই ভাই। গাড়িতে কিশোরও ছিল। তাঁদের গাড়ি বাইপাসের ধারে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। গুরুতর জখম হন তিনজন।

আরও পড়ুন- LSG’র বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে নামার আগেই ধাক্কা দিল্লি শিবিরে, প্রথম ম্যাচে নেই রাহুল : সূত্র

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_