হাইকোর্টের নির্দেশে বৈষম্য ভেঙে ৩০০ বছর পর নদিয়ার শিব মন্দিরে পুজো তফসিলিদের

পুলিশের পাহারায় এই মন্দিরে পুজো দেন এত দিন ধরে বঞ্চিত থাকা গোষ্ঠীর পাঁচটি পরিবারের পাঁচজন প্রতিনিধি

প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সম্প্রতি মন্দিরে পুজো দেওয়া নিয়ে বিবাদ মিটেছিল পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার গীধগ্রামে।এবার সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল নদিয়ার বৈরামপুরের একটি শিব মন্দিরে। অভিযোগ ছিল, প্রথার দোহাই দিয়ে প্রায় ৩০০ বছর ধরে নির্দিষ্ট একটি গোষ্ঠীর মানুষকে বহু যুগ ধরে তাদের আরাধ্যের আরাধনা করতে দেওয়া থেকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছিল।মন্দিরে প্রবেশাধিকার ছিল না তফসিলি জাতিভুক্তদের। হাইকোর্টের নির্দেশের পর বৃহস্পতিবার মন্দিরে পুজো দেওয়ার সুযোগ পেলেন তারা। পুলিশি নিরাপত্তায় মন্দিরে পুজো দিতে পেরে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা।

আদালতে সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছিল। সেই মামলায় উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ, দেবালয়ে যদি এমন বৈষম্য করা হয়, তাহলে তা মানবাধিকার লঙ্ঘন করে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের ভূমিকাতেও ক্ষুব্ধ ছিল হাইকোর্ট। যার জেরে তাদের আদালতের কাছে ধমকও খেতে হয়েছিল।এরপরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। দফায় দফায় সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে প্রশাসনের তরফে বৈঠক করা হয়। তাতেই মেলে সমধানসূত্র। স্থির হয়, এবার থেকে সব ভক্তরাই মন্দিরে পুজো দিতে পারবেন। সেই অনুযায়ী, বহু বছরের বৈষম্য ভেঙে বৃহস্পতিবার প্রথমবার পুলিশের পাহারায় এই মন্দিরে পুজো দেন এত দিন ধরে বঞ্চিত থাকা গোষ্ঠীর পাঁচটি পরিবারের পাঁচজন প্রতিনিধি।

কৃষ্ণনগরের পুলিশ আধিকারিক উত্তমকুমার ঘোষ বলেন, শিব মন্দিরে প্রবেশ সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান হয়েছে। নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর মানুষজনও আজ পুজো দিতে পেরেছেন। কোনওরকম বাধার মুখে পড়তে হয়নি তাদের। সর্বসম্মতিতেই এই সিদ্ধান্ত হয়েছিল।