হাড়হিম করা হত্যাকাণ্ডের পর একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। এবার ভাইরাল মুসকান ও সাহিলের পাবের নাচের ভিডিয়ো ৷যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি বিশ্ব বাংলা সংবাদ।ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, গত ১৪ মার্চ হোলিতে তারা পাবে উন্মত্ত অবস্থায় নাচানাচি করছে। শনিবার সকালে একটি ভিডিয়ো নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয় ৷ ওই ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, লাল-হলুদ আবিরে একেবারে রংচংয়ে হয়ে একপ্রকার পাগল হয়ে উন্মত্ত অবস্থায় নাচ করছে মুসকান রাস্তোগি ও তার প্রেমিক সাহিল শুক্লা ৷
তবে, এবার হোলির ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োর নাচ ২৫ সেকেন্ডই দেখা গিয়েছে ৷ তাতে প্রথমে মুসকানের মুখ দেখা যায় পরে, সাহিলকে ডিজে-র তালে আনন্দে নাচতে দেখা যায়। নেটিজেনদের একাংশের মতে, স্বামীকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিয়ে এমন উল্লাসে কেউ মাততে পারে তা ভাবাই যায়না।
উল্লেখ্য, মার্চেন্ট নেভি অফিসার সৌরভের ১৪ দিন ধরে নিখোঁজ থাকা এই হাড়হিম করা মীরাট কাণ্ডের সূত্রপাত ৷ পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত স্ত্রী মুসকান রাস্তোগি ও তার প্রেমিক সাহিল শুক্লা জানিয়েছে, প্রথমে সৌরভের খাবারে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বেহুঁশ করে তারা। তারপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে সৌরভকে খুন করে দেহ ১৫ টুকরো করে বড় ড্রামে ভরে দেয় মুসকান ও সাহিল৷নৃশংস ঘটনা যাতে কারও নজরে না-আসে, তাই সিমেন্ট দিয়ে ড্রামের মুখ ভর্তি করে দেয় তারা৷ এরপর মুসকান তাদের পাঁচ বছরের মেয়ে পিহুকে মায়ের কাছে রেখে সাহিলের সঙ্গে মানালিতে ঘুরতে চলে যায়৷ যাওয়ার সময় বলে যায় সৌরভের সঙ্গে একান্তে সময় কাটাতে যাচ্ছে৷
এরপরই মানালিতে গিয়ে বিয়েও সেরে ফেলে ধৃত সাহিল ও মুসকান৷ পরিবার এবং পুলিশকে চোখে ধুলো দেওয়ার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়ো এবং ছবি আপলোড করতে থাকে সৌরভের ফোন থেকে। হোটেল কর্মীদের দাবি, বেশ কয়েকদিন মানালিতে থাকলেও তারা ঘর থেকে বেরতেনই না। বেরলেও সামান্য সময়ের জন্য। এবং খাবারও তারা ঘরে আনিয়েই খেতেন। সাধারণত এখানে এলে পর্যটকরা প্রচুর ‘সাইট সিয়িং’ করেন। কিন্তু মুসকান-সাহিল এসবের ধার কাছেও যাননি। এমনকী ঘর পরিষ্কার করার জন্য একবারই হোটেলের কর্মীদের ডেকেছিলেন।
১৮ মার্চ, সৌরভের ছোট ভাই রাহুল যখন দাদাকে খুঁজতে খুঁজতে বাড়িতে পৌঁছয়, তখন সন্দেহ করেন যে দাদাকে খুন করা হয়েছে। এরপর তিনি পুলিশকে খবর দেন।
–
–
–
–
–
–
–