পরমাণু প্রকল্প ইস্যুতে সমঝোতায় আসার জন্য ইরানকে দু মাসের সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।এতে তেহরান ব্যর্থ হলে সামরিক পথে হাঁটতে পারে ওয়াশিংটন। ইরানের(iran) সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেইনিকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠিও দিয়েছেন তিনি।আমিরাতের একজন কূটনীতিক বুধবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগশিকে চিঠিটি পৌঁছে দিয়েছেন।ট্রাম্প প্রশাসনের একজন গুরুত্বপূর্ণ আধিকারিক জানিয়েছেন, চিঠিটি পাঠানোর আগে ইজরায়েল, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বেশ কিছু মিত্র দেশের কূটনীতিককে তা দেখিয়েছেন ট্রাম্প, চিঠির বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনাও করেছেন।চিঠিটি ট্রাম্প লিখেছিলেন চলতি মার্চ মাসের শুরুর দিকেই।

আমেরিকার(america) জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র ব্রায়ান হিউস এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে যে বিরোধ চলছে, তা শিগগির কূটনৈতিকভাবে মীমাংসা করতে চান ট্রাম্প। তিনি চিঠিতে এই কথা আয়াতুল্লাহ খামেনির কাছে স্পষ্ট করেছেন। তা যদি সম্ভব না হয়, তাহলে বিরোধ মেটার অন্যান্য উপায় রয়েছে।

পরমাণু চুক্তি(nuclear deal) নিয়ে ট্রাম্পের কোনও হুমকিতে মাথা নত করা হবে না বলে চলতি মাসের গোড়ায় জানিয়েছিলেন খামেইনি। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্টের ‘পত্রবোমা’র প্রেক্ষিতে কিছুটা সুর নরম করেছে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজ়েশকিয়ানের সরকার।পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ইরানের উপর চাপ বাড়াতে আগামী সপ্তাহে বৈঠক করবে আমেরিকা এবং ইজরায়েল! সেখানে ‘সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ’-এর বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছরে একাধিক বার ইরানের বিভিন্ন পরমাণুকেন্দ্রে বিমান হামলা চালিয়েছে ইজরায়েলি ফৌজ।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার জমানায় ইরানের সঙ্গে তিন বছরের পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি করেছিল ছয় শক্তিধর রাষ্ট্র— ব্রিটেন, ফ্রান্স, রাশিয়া, জার্মানি, চিন এবং আমেরিকা।এই চুক্তির ফলে এক দিকে যেমন ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি নিয়ে হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছিল আমেরিকা-সহ পশ্চিমি দুনিয়া, তেমনই ১০ হাজার কোটি ডলারের সম্পত্তি ফিরে পেয়েছিল ইরানও।

–

–

–

–

–

–

–

–