কোটি কোটি টাকা প্রতারণা করে বেলজিয়ামে হলিডে মুডে সস্ত্রীক চোকসি!

পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক থেকে ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে বেলজিয়ামে স্ত্রীর সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছেন মেহুল চোকসি (Mehul Choksi)। ২০১৮ সালে দেশ ছাড়ার পর তদন্তকারী সংস্থাগুলি সরাসরি কোনও পদক্ষেপ করতে পারেনি। সিবিআই ও ইডি (CBI & ED) দুজনেই খুঁজে চলেছে ‘প্রতারক’কে। এবার ‘অ্যাসোসিয়েটেড টাইমস’ নামের এক এক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট বলছে এই মুহূর্তে বেলজিয়ামের অ্যানটোয়ার্পে (Antwerp,Belgium)রয়েছেন মেহুল ও প্রীতি চোকসি। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই তাঁকে দিল্লি ফিরিয়ে আনার তোড়জোড় শুরু হয়েছে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর মিলেছে।

মোদি রাজ্যের (Gujrat)এই হিরে ব্যবসায়ী কোটি কোটি টাকা তছরুপ করে বছর সাতেক আগে দেশ থেকে পালিয়ে যান। প্রাথমিকভাবে তাঁর অবস্থান জানতে না পারা গেলেও পরে খবর মেলে যে ‘প্রতারক’ মেহুল আস্তানা গেড়েছেন দক্ষিণ আমেরিকার দ্বীপপুঞ্জে। তাঁর অ্যান্টিগা ও বারবুডায় থাকার কথাও জানা যায়। এরপর তাঁকে ওয়ান্টেড তালিকা থেকে সরিয়ে দেয় ইন্টারপোল। এই সময় মেহুলকে ভারতে ফেরানোর চেষ্টা করা হয়েছিল বলে দাবি করে নয়াদিল্লি। তবে ২০২৩ সালে অ্যান্টিগার আদালত নির্দেশ দেয়, তাঁকে সে দেশ থেকে অন্য কোথাও নিয়ে যাওয়া যাবে না। ফলে ভারতের প্রত্যর্পণের প্রচেষ্টা ব্যাহত হয়। ওই বছরেরই ১৫ নভেম্বর থেকে মেহুল ‘এফ রেসিডেন্সি কার্ড’ (এই কার্ডের মাধ্যমে অন্য দেশের নাগরিকরা স্ত্রী বা স্বামীর সঙ্গে নির্দিষ্ট শর্তসাপেক্ষে বেলজিয়ামে থাকতে পারেন) ব্যবহার করে বেলজিয়ামে বসবাস শুরু করেন বলে জানা যায়। ভারতে প্রত্যর্পণ এড়াতে তিনি শারীরিক অসুস্থতা ও মানবিক দিক তুলে ধরছেন। এমনকি ভুয়ো নথিপত্র তৈরি করে চিকিৎসার কারণে সুইৎজারল্যান্ডে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন তিনি এমনটাই অভিযোগ। তবে নয়াদিল্লি মেহুলকে ফেরাতে ইতিমধ্যেই বেলজিয়াম প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেছে বলে জানা যাচ্ছে।