মমতা- অভিষেক নিয়েই তৃণমূল, পোস্টার বিতর্কে জবাব বাবুল- দেবাংশুর

বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন (WB Assembly Election)। তার আগে জনসংযোগ জোরদার করা থেকে শুরু করে ভূতুড়ে ভোটার ধরার কাজে ব্যস্ত তৃণমূল। এর মাঝে আচমকাই চর্চায় পোস্টার বিতর্ক। দিন কয়েক আগে শহরের বুকে দুধরণের পোস্টার দেখা যায়। ‘ফ্যাম’ (FAM)অর্থাৎ তৃণমূলের সমর্থক গোষ্ঠী হলুদ পতাকায় ছেয়ে গেছিল দক্ষিণ কলকাতা। সেখানে লেখা ‘অধিনায়ক অভিষেক’ (Abhishek Banerjee)। পাশেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ছবি সম্বলিত হোর্ডিং, লেখা ‘সর্বাধিনায়িকা জয় হে’। এরপর থেকেই বিরোধীদের অপপ্রচারের রাজনীতি শুরু হয়ে যায়। মমতা এবং অভিষেকের মধ্যে দূরত্ব তৈরির ভুয়ো খবর থেকে তৃণমূলের ভাঙ্গন সংক্রান্ত নানা কুৎসা ছড়িয়ে হাওয়া গরম করার চেষ্টা হয়। রবিবার ফ্যাম’-এর ‘রণকৌশল’ বৈঠকে উপস্থিত হয়ে সব কুকথার জবাব দিলেন মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo) এবং ঘাস্ফুলের আইটি সেলের হেড দেবাংশু ভট্টাচার্য (Debangshu Bhattachartya)। বুঝিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়- এই দুই নিয়ে তৃণমূল (TMC),যেখানে দলই শেষ কথা।

এদিন গাঙ্গুলিবাগানের কলতান কমিউনিটি হলে ‘ফ্যাম’-এর বৈঠকে বাবুল বলেন, “তৃণমূলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই নেত্রী। আর অভিষেক সেনাপতি। এ ব্যাপারে কি কারও কোনও সন্দেহ আছে? দিদিই অভিষেকের হাতে ব্যাটন তুলে দিয়েছেন। এখানে আসল হচ্ছে দলটা। ব্যাকরণ ঠিক রাখো, ভাষাটা শিখে যাবে।” গত শনিবার ভোটার তালিকা নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক সারেন অভিষেক। যেখানে যোগ দিয়েছিলেন সাংসদ, বিধায়ক, জেলা সভাপতি থেকে দলের সব স্তরের প্রায় সাড়ে চার হাজার নেতা-নেত্রী। স্পষ্ট বোঝা যায়, দলনেত্রী এবং সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মিলে বিধানসভা নির্বাচনে আরও ভালো ফলের জন্য মাঠে নেমে পড়েছেন। গত বৃহস্পতিবার নবান্নের সাংবাদিক বৈঠক থেকে মমতা এও জানিয়ে দেন, তাঁর লন্ডন সফরের সময় দলের কাজ দেখবেন রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী এবং অভিষেক। কোথাও যাতে যুবদের মধ্যে কোনও ভুল বোঝাবুঝি বা ভ্রান্ত ধারণা না হয় সেই কথা মাথায় রেখে এদিন দেবাংশু দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ দেখে দল করতে এসেছি। তিনিই সব। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় জোর দিয়েছেন। যেটা আগে কেউ কোনওদিন করেনি। সবটা মিলয়েই তৃণমূল। যারা কুৎসা করছে তাদের থেকে সাবধান থাকুন।”