স্থায়ী পুনর্বাসনের দাবি তুললেন বেলগাছিয়ার ঘরহারারা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, পুরমন্ত্রী পরিদর্শনের পর তিন দিনের মধ্যে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। সোমবার সকালে এলাকা পরিদর্শনে যান মেয়র ফিরহাদ হাকিম। স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে জানান, সকালেই প্রশাসনের লোকরা এসে তাদের কাছে কাগজপত্র দেখতে চান। তাই তারা আশঙ্কা করছেন, হয়তো ওই এলাকা থেকে তাদের তুলে দেওয়া হতে পারে। সেই কারণে অস্তিত্ব সঙ্কটে ভুগছেন তারা। কিন্তু মেয়র তিন দিনের মধ্যে সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দেওয়ায় কিছুটা হলেও আশ্বস্ত তারা।

এদিন বেলগাছিয়া ভাগাড় নিয়ে একগুচ্ছ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন পুরমন্ত্রী।সোমবার তিনি বেলগাছিয়ার সাইট অফিসে জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে ছিলেন জেলাশাসক পি দিপাপ প্রিয়া, নগরপাল প্রবীণ ত্রিপাঠী, বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ, গৌতম চৌধুরি, হাওড়ার মুখ্য পুর প্রশাসক ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী সহ আরও অনেকে। বৈঠকের শেষে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বেলগাছিয়া ভাগাড় নিয়ে তাদের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন। এলাকাবাসীদের সঙ্গেও কথা বলেন পুরমন্ত্রী। তিনি বলেন, তিন চার দিন সময় লাগবে। আমরা বিকল্প কোথাও একটা ব্যবস্থা করছি। পুরসভা চিরকালই ঘর করে দিচ্ছে। এই টাকা তো কেন্দ্র দিচ্ছে না। নিজেদের ফান্ড দিয়েই আমরা করছি। ওদেরও ঘর করে দেব। কিন্তু ওখানকার মাটিটাই ভারসাম্য ধরে রাখতে পারছে না। তাই অন্য কিছু একটা চিন্তা করতে হবে। আজ অফিসে বসে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, খোলা জায়গা খুঁজে পাওয়া যাবে।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকালে বেলগাছিয়া ভাগাড়ের ১০-১৫তলা উঁচু আবর্জনার পাহাড়ে আড়াআড়ি ফাটল ধরে। যা বড়সড় ধসের আকার নেয়। ধসের জেরে ভাগাড়ের ভিতরে উত্তর হাওড়া, শিবপুর ও মধ্য হাওড়ার একাংশে পানীয় জল সরবরাহকারী মূল পাইপলাইন ফেটে যায়। ফাটল ধরে কোটি টাকা ব্যয়ে সদ্য তৈরি কংক্রিটের রাস্তায়। ভেঙে পড়ে সদ্য তৈরি করা নিকাশি নালাও। সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ঝিলের ধারে এফ রোডের বস্তির বহু বাড়ি ও ঝুপড়ি। ধসের জেরে প্রথমে বহু বাড়িতে ফাটল ধরলেও সেই ফাটল বাড়তে থাকে শুক্রবার সকাল থেকে। ভেঙে পড়তে থাকে একের পর এক টালির চালের অস্থায়ী বাড়ি। মিথেনের কটু গন্ধে বাসিন্দারা অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন।

ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলিতে গিয়ে এদিন সার্ভে করেন ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপের আধিকারিকরা। অন্যদিকে, উত্তর হাওড়া ও শিবপুর বিধানসভা এলাকায় জলসঙ্কট আপাতত মিটেছে। পদ্মপুকুর জল প্রকল্পের সঙ্গে পাইপ লাইন জোড়ার কাজ শেষ হওয়ার পর গতকাল রাত থেকে উত্তর হাওড়া বিধানসভা এলাকার ১৪টি ওয়ার্ডে জল সরবরাহ শুরু হয়েছে।


–


–

–

–

–
–

–

–