সোমবার সকাল থেকেই উত্তাল রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বি টি রোড ক্যাম্পাস। যার জেরে এদিন রবীন্দ্রভারতীতে এলেন না অস্থায়ী উপাচার্য শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায় এবং অন্তর্বর্তী রেজিস্ট্রার আশিস সামন্ত। বিক্ষোভকারীদের দাবি, অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়কে তার পদ ছাড়তে হবে। অপসারিত করতে হবে অস্থায়ী রেজিস্ট্রারকেও।

সারা বাংলা তৃণমূল শিক্ষা বন্ধু সমিতির রাজ্য কমিটি, ওয়েবকুপা, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফ থেকে সম্মিলিতভাবে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ চলছে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যদের অভিযোগ, অবৈধভাবে ইসি মিটিং করছেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য। রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়া ইসি মিটিং করছেন তারা।

স্থায়ী উপাচার্য এবং স্থায়ী রেজিস্ট্রারের দাবি নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। তাদের অভিযোগ, ক্যাম্পাসের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না তাদের। অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয় এলে তাকে ঢুকতে দেবেন না আন্দোলনকারীরা। শুধু তাই নয় যতক্ষণ না তাদের দাবি মানা হচ্ছে ততক্ষণ চলবে তাদের এই আন্দোলন, এমনই জানিয়েছেন তারা।

তাদের বক্তব্য, বর্তমানে যিনি অস্থায়ীভাবে উপাচার্যের ‘গদি আঁকড়ে’ বসে রয়েছেন, তিনি কোনও নিয়ম নীতি মানছেন না। তার এত দিন ওই পদে বসে থাকার কথাই নয়। তাই তাকে সরিয়ে, নিময় মেনে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করতে হবে। একইসঙ্গে, অস্থায়ী উপাচার্যের ‘আস্থাভাজন’ অন্তর্বর্তী রেজিস্ট্রারকে নিয়েও ক্ষোভ উগড়ে দেন বিক্ষোভকারীরা।


রবীন্দ্রভারতীর তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা বিশাল দাসের অভিযোগ, উপাচার্য হওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) যে মানদণ্ড বেঁধে দিয়েছে, অস্থায়ী উপাচার্য শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায় তা পূরণ করতে পারেননি। তিনি প্রাক্তন বিচারপতি। অন্তর্বর্তীকালীন মেয়াদে ছ’মাসের বেশি তার পদে থাকার কথা নয়। কিন্তু ২০২৩ সালে রাজ্যপাল তাকে উপাচার্য পদে নিযুক্ত করার পর থেকেই তিনি পদ আঁকড়ে রয়েছেন।


ওই ছাত্রনেতা আরও অভিযোগ করে দাবি করেছেন, রাজ্য শিক্ষা দফতরের নিষেধ অগ্রাহ্য করে অস্থায়ী উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ে এগজিকিউটিভ কাউন্সিল (ইসি)-এর বৈঠক ডাকছেন। এটা তিনি করতে পারেন না। তার এই তুঘলকি আচরণের প্রতিবাদেই আমাদের এই বিক্ষোভ।

–

–

–
–

–

–