দিলি হাইকোর্টের বিচারপতি যশবন্ত ভার্মাকে (Yashwant Varma) এলাহাবাদ হাইকোর্টে স্থানান্তরিত করায় প্রবল বিক্ষোভ এলাহাবাদ বার অ্যাসোসিয়েশনের (Allahabad High Court)। এলাহাবাদ থেকে তাঁকে বিচারকাজে নিয়োগ করা যাবে না, এই দাবিতে কর্ম বিরতির (strike) পথে যোগীরাজ্যের বার অ্যাসোসিয়েশন। সেই সঙ্গে দাবী জানানো হয়, বিচারপতি ভার্মার দেওয়া সব রায় আবার যাচাই করা হোক।

সোমবারে দিল্লি হাইকোর্টের সমস্ত বিচার প্রক্রিয়া থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় বিচারপতি যশবন্ত ভার্মাকে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তাঁকে এলাহাবাদ হাইকোর্টে (Allahabad High Court) সরানোর নির্দেশও জারি হয়। আর এরপরই প্রবল বিক্ষোভে যোগীরাজ্যের হাইকোর্টের আইনজীবীরা। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) সিদ্ধান্তের পরে তাঁরা দাবি করেন এলাহাবাদ হাইকোর্ট কোন ভাগাড় নয়। দ্রুত তাঁকে অন্যত্র না সরালে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে (strike) যাবেন তাঁরা, এমনটাও জানান।

সেই সঙ্গে আইনজীবীরা বিচারপতি ভার্মার বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনারও দাবি জানান। আইনজীবীদের কথায়, এলাহাবাদ হাইকোর্ট (Allahabad High Court) বা তার লক্ষ্ণৌ শাখা, এমনকি অন্য কোনও হাইকোর্টে যেন জায়গা না দেওয়া হয় বিচারপতি ভার্মাকে। এবং বিচার ব্যবস্থার প্রতি সাধারণ মানুষের বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে যেন বিচারপতি ভার্মার (Yashwant Varma) দেওয়া সমস্ত রায়কে আবার যাচাই করা হয়, দাবি জানান আইনজীবীরা।

ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশে গঠিত তিন সদস্যের কমিটি বিচারপতি ভার্মার বাড়িতে টাকা উদ্ধারের ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টে এই মামলা পুলিশের হাতে হস্তান্তরিত করা ও বিচারপতি ভার্মার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার জন্য একটি মামলা দায়ের হয়েছে। সেখানে দাবী করা হয়েছে, তদন্ত কমিটির এফআইআর দায়েরের এক্তিয়ার থাকে না। তাই এই তদন্ত পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হোক।


–


–

–

–

–
–

–
