তিন বছর বিরোধী রাজ্যগুলিকে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা! সংসদে বিক্ষোভে একজোট বিরোধী সাংসদরা

লোকসভায় (Loksabha) কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রশেখর এস পেম্মাসানি তিন বছরের পুরনো ব্যাখ্যা দিতে শুরু করেন। তাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিরোধী সংসদরা

নানা অজুহাতে শুধুমাত্র বিরোধী রাজ্যগুলোকে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বঞ্চনা (central deprivation)। সরকারি প্রকল্প বরাদ্দের খাতে শূন্য। এরপরেও একই অজুহাত সংসদে (Parliament) দাঁড়িয়ে দিয়ে চলেছেন কেন্দ্রের মন্ত্রী। প্রতিবাদে মঙ্গলবার একজোট হয়ে সংসদে বিক্ষোভে বিরোধী সংসদরা। এতদিন তৃণমূল সাংসদরা কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে লাগাতার ক্ষোভ দেখিয়ে এসেছেন। মঙ্গলবার তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হলেন ডিএমকে (DMK) এবং কেরালার বিরোধী সাংসদরাও।

একের পর এক তদন্তকারী দল পাঠিয়েও তিন বছর ধরে বাংলাকে ১০০ দিনের টাকা দিতে ব্যর্থ কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। সংসদে তা নিয়ে বারবার সরব তৃণমূল সংসদরা। মঙ্গলবার তারই জবাবে লোকসভায় (Loksabha) কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রশেখর এস পেম্মাসানি তিন বছরের পুরনো ব্যাখ্যা দিতে শুরু করেন। তাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিরোধী সংসদরা।

লোকসভার (Loksabha) ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল ও ডিএমকে (DMK) সংসদরা। বিরোধী সাংসদদের থামিয়ে দিতে দুপুর পর্যন্ত অধিবেশন মুলতুবি করে দেন স্পিকার ওম বিড়লা (Speaker Om Birla)।

তবে তাতে দমে যাননি বিরোধী সংসদরা। কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শিবরাত্রি সিং চৌহান যেভাবে বারবার কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে সাফাই দিয়েছেন, সেই কারণে সংসদের (Parliament) বাইরে কৃষি মন্ত্রীর বিরুদ্ধেই বিক্ষোভে সরব হন তৃণমূল, ডিএমকে সাংসদরা। তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee) দাবি করেন, ২৫ লক্ষ জব কার্ড ভুয়ো রয়েছে বলে তথ্য পেশ করলেও আজও পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি কেন্দ্র সরকার। তার জন্য সাধারণ মানুষকে বঞ্চিত করা হচ্ছে তিন বছর ধরে। প্রত্যেকটি বিরোধী রাজ্যের এমজিএনআরইজিএ প্রকল্পে শূন্য অর্থ বরাদ্দ হচ্ছে। ২০২৬ সালে এই বঞ্চনার ইস্যুতেই লড়বে তৃণমূল।