প্রবল ঠান্ডাও দমাতে পারেননি তাঁকে। লন্ডনে পৌঁছে পরের দিন থেকেই রাস্তায় হাঁটতে বেরিয়ে পড়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বুধবার লন্ডনের রাস্তায় হাঁটার ছবি পোস্ট করে মুখ্যমন্ত্রী বার্তা দিলেন, হাঁটলে চারপাশের জগৎটাকে অনুভব করা যায়।

পাহাড় হোক বা সমতল- বিভিন্ন জায়গাতেই হাঁটতে ভালবাসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সকালে সময় না পেলে বিকেলেই বেরিয়ে পড়েন তিনি। হাঁটতে হাঁটতেই সারেন জনসংযোগ। তাঁর সঙ্গে হেঁটে পাল্লা দিতে পারেন না অনেকেই। ব্যতিক্রম হল না লন্ডনেও (London)। ঠাণ্ডা-হাওয়া তার মধ্যেই হাঁটতে বেরিয়ে পড়েছেন তিনি। কখনও জগিং করছেন, কখনও ব্যাক ওয়াক। পরনে সেই চিরপরিচিত সাদা খোলের শাড়ি। আর তীব্র ঠান্ডাতেও পায়ে হাওয়াই চটি।

হাঁটার ছবি পোস্ট করে এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) মুখ্যমন্ত্রী লেখেন,
“আমি সবসময় বিশ্বাস করি যে কোনও জায়গাকে আক্ষরিক অর্থে অনুভব করার সর্বোত্তম উপায় হল হেঁটে যাওয়া, গাড়ির জানালার আড়াল থেকে নয়। এটি আপনাকে স্পষ্টতর ভাবে দেখতে এবং মানুষ, পরিবেশ এবং ইতিহাসের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে সাহায্য করে।” নিজের বক্তৃতাতেও একথা বারবার দলের নেতা, কর্মী বা সরকারি আধিকারিকদের বলে থাকেন মমতা। গাড়ি করের কাচ তুলে হুশ করে বেরিয়ে যাওয়া নয়, রাস্তায় হেঁটে যান। জনসংযোগ করুন- এটাই মুখ্যমন্ত্রীর মূল মন্ত্র।

মুখ্যমন্ত্রী লেখেন,
“প্রতিবার দেখার সাথে সাথেই লন্ডন আরও পরিচিত হয়ে উঠেছে। এর পাথরের তৈরি পথগুলি শতাব্দীর অতীতের গল্প ফিসফিস করে বলে। ব্যস্ত সময়সূচির মধ্যেই আমি চারপাশ হেঁটে দেখার, পথ চলতি মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করার, এর ল্যান্ডমার্কগুলির প্রশংসা করার জন্য বিরতি নেওয়ার এবং ইতিহাস দ্বারা গঠিত এবং রূপায়িত একটি শহরের স্থায়ী আকর্ষণে ডুবে যাওয়ার সময় খুঁজে পেয়েছি।
মিশেল ডি সার্টো একবার লিখেছিলেন, যে হাঁটা হল লেখকের একটি কাজ, শহরের কাঠামোতে নিজেকে প্রবেশ করানোর একটি উপায়। লন্ডনের কালজয়ী রাস্তাগুলির মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময়, আমার মনে হচ্ছে যে প্রতিটি যাত্রা শুধু আমরা কোথায় যাচ্ছি তা নয়, বরং আমরা কীভাবে আমাদের চারপাশের জগতকে অনুভব করতে পছন্দ করছি তার অনুভূতি দেয়।”


–


–

–

–

–
–

–
