মমতার সভায় ‘অসভ্যতার’ দায় স্বীকার SFI UK-র, পোস্ট করে তীব্র আক্রমণ কুণালের

বিদেশের মাটিতে বাংলাকে অপমান করার ষড়যন্ত্রের মূল চক্রী বামেরা। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় অক্সফোর্ডের কেলগ কলেজের মঞ্চে দাঁড়িয়ে সেকথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। তার কিছুক্ষণ পরেই মমতার সভায় অসভ্যতার দায় স্বীকার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করল এসএফআইয়ের ইউকে (SFI UK) শাখা। যাঁরা যাঁরা এই গোলমাল পাকানোর সব কষে ছিলেন, ছবি দিয়ে তাঁদের পরিচয় প্রকাশ করেছেন অনেকে। ষড়যন্ত্রকারীদের তীব্র আক্রমণ করলেন তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।

এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতার মাঝখানে টাটা থেকে শুরু করে আরজিকর বিভিন্ন ইস্যুতে প্রশ্ন তুলে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন কয়েকজন। সাকুল্যে সেই জনা ছয়েক দর্শককে উপেক্ষা করতেই পারতেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তা না করে সোজাসুজি তাঁদের সব কথার জবাব দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়েছেন মমতা। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই ছবি পোস্ট করে গোলমালকারীদের পরিচয় প্রকাশ করেছেন অনেকে। তার মধ্যে একজন সুচিন্তন দাস, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক সুস্নাত দাসের ছেলে। সুস্নাত রাজ্যপাল নিযুক্ত উপাচার্যের আমলে ডিন হয়েছেন। কয়েকদিন আগেই বঙ্গীয সাহিত্য পরিষদের নির্বাচনে দাঁড়িয়ে তৃণমূল সমর্থকদের প্যানেলের কাছে হেরে যান সুস্নাত। বাকি যাঁরা এদিন গোলমাল করেছিলেন, সবাই এসএফআইয়ের UK শাখার সদস্য। তাদের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে জ্বলজ্বল করছে এই গুণধরদের ছবি।

ঘটনার পর সেই সভায় উপস্থিত কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র আক্রমণ করে লেখেন,
“সিপিএমের যে দুচারপিস অক্সফোর্ডে বাঁদরামি করল, এরা দেশ, বাংলার সম্মান ভাবে না। তাদের আমলে কী হয়েছিল, ভুলে গিয়েছে। সব ঘটনা মনে করাতে হবে সারা বাংলায়। আজ সকলের বাধায় লেজ তুলে পালিয়েছে। বক্তৃতায় বাধা কেন? প্রশ্ন করো প্রশ্নোত্তর পর্বে। তা নয়, বাঁদরামিটা এদের সংস্কৃতি।
এদের পরিকল্পিত অসভ্যতার খবর আগেই পেয়ে কদিন আগে পোস্ট করেছিলাম।
এদের চিহ্নিত করে অনেকে কলকাতা কানেকশন পোস্ট করছেন। ভালো করছেন।
রবীন্দ্রসঙ্গীত এরা বোঝে না। ডিজে শুনতে চাইছে।”

কুণাল জানান, মমতার সভায় গোলমাল পাকানো কেউই অক্সফোর্ডের ছাত্র নন, তাঁরা বহিরাগত।
“অক্সফোর্ডে ছ’টা বামরামের পরিকল্পিত অসভ্যতা উড়িয়ে ছক্কা হাঁকালেন মমতা। ছ’পিস ছেলেমেয়ে ফেসবুকের প্রচারের জন্য নাটক করতে গিয়েছিল। ভেবেছিল সভা বানচাল হবে। পাবলিকও তেড়ে এগিয়ে যেতে তারা কার্যত পালালো।
অক্সফোর্ড জানিয়েছে এরা তাদের ছাত্র নয়।বহিরাগত। মমতাদি ঠান্ডা মাথায় এদের উড়িয়ে অসাধারণ ভাষণ দিলেন। উপস্থিত জনতা, ছাত্রছাত্রীদের উষ্ণতায় ভাসলেন। বললেন,’ দেশকে অপমান করছেন কেন? এসব না করে বাংলায় তোমাদের দলগুলোকে শক্তিশালী হতে বলো। তোমাদের নেতারা কোথাও গেলে এসব হলে সামলাতে পারবে? আসলে ঈর্ষার কোনো ওষুধ হয় না। আমার পদবী ব্যানার্জি, মানে এনার্জি।’ অসাধারণ ভাষণে দিদি বোঝালেন বাংলা কেন এগিয়ে, বোঝালেন বিকল্প দর্শন। ছ’টা অসভ্য মমতাদির ভাষণে বাধার চেষ্টা করেছিল। দেখে এবং কথা শুনলেই বোঝা যায় কে বিজেপি, বাম, অতি বাম। জনতার তাড়ায় এদের পালানোর দৃশ্য ছিল দেখার মত।”