Friday, November 28, 2025

বক্তৃতা বানচালের সঙ্গে  বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের ছক কষেছিল, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ফাঁস তৃণমূল আইটি সেলের

Date:

Share post:

বাম-রাম-অতিবামেরা শুধু অক্সফোর্ডে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতা বানচালের ছক কষেই ক্ষান্ত ছিল না, বৃহত্তর ষড়যন্ত্র রচনা করেছিল তারা। সিপিএম শুধু রক্ত চায়। তাই অক্সফোর্ডে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতা মঞ্চকে কেন্দ্র করে সিপিএমের আসল রূপ ফের একবার বেরিয়ে পড়ল। প্রেসিডেন্সির এক স্টুডেন্ট অদ্রিজা রাহা নির্দ্বিধায় সমাজমাধ্যমে পোস্ট করলেন, সিপিএমের দ্বারা একটা কাজ ঠিকঠাক হয় না। মাথায় গুলিটা যদি ঠিকঠাক করত, আজ এই দিন দেখতে হত না। একজন ছাত্রীর কী ঔদ্ধত্য! সোজাসুজি গুলি করে খুনের হুঙ্কার তাঁর পোস্টে! আসলে সিপিএমের হার্মাদ-খুনিদের এত বছরের অভ্যাস। সত্যি, এত সহজে কী ভোলা যায়! রক্ত ছাড়া সিপিএম হতেই পারে না! এই বিষয়ে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে অভিযোগ জানালেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। তৃণমূলের আইটি সেলের পক্ষ থেকেও দেবাংশু ভট্টাচার্যরা অভিযোগ জানাচ্ছেন।
এই মর্মে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের চ্যাটও সামনে এনেছে তৃণমূল আইটি সেল। অক্সফোর্ডে কেলগ কলেজে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুষ্ঠানে হুজ্জুতি করার পরিকল্পনা যে অনেক আগে থেকেই করা হয়েছিল, এই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট তার প্রমাণ। সেই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে লেখা হয়েছে, অনেক প্ল্যান করে এটা অর্গানাইজ করা হয়েছিল। আমাদের বার্মিংহাম তিলোত্তমা গ্রুপের বেশ কয়েকজন ছিল। আমরা সবাই চাঁদা তুলে টিকিট কেটেছিলাম কাউকে না জানিয়ে। তাদের মধ্যে আরও নানা কথোপকথন চালানো হয়েছে এই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে।
বৃহস্পতিবার অক্সফোর্ডে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় তাদেরই ৬ পিস সম্মিলিত হয়ে গন্ডগোল পাকাতে গিয়েছিল। সেখানে জনতার ঘাড়ধাক্কা খেয়ে পালিয়ে যায়। বানচাল হয়ে যায় তাদের পরিকল্পনা। যারা গন্ডগোল পাকাতে গিয়েছিল, তাদের মাথা হল সুচিন্তন দাস। কে এই সুচিন্তন দাস? তিনি হলেন রবীন্দ্রভারতীর ইতিহাসের অধ্যাপক সুস্নাত দাসের ছেলে। এখানে জেনে রাখা ভালো, এই সুস্নাত দাস কে? রাজ্যপাল নিযুক্ত অধ্যাপকের আমলে ডিন হয়েছেন তিনি। কয়েকদিন আগেই বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের নির্বাচনে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের প্যানেলের কাছে গোহারা হেরেছেন। ওই ৬ পিসের আরও দু’জনকে পাওয়া গিয়েছে। তারা এসএফআইয়ের সক্রিয় সদস্য।

তারপর এসএফআইয়ের ইউকে ইউনিট এই ঘটনার দায় স্বীকার করে আরও স্পষ্ট করে দিয়েছে, সিপিএম এবং তাদের সহযোগী রাম-অতিবাম সমর্থকরা এই বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অঙ্গ ছিল। প্রশ্ন একটাই, এসব করে কি লাভ হল সিপিএমের? তারা কি শূন্য থেকে এক হবে? হবে না। বরং শূন্য থেকে মহাশূন্যে যাওয়ার রাস্তা তৈরি করে ফেলল তারা, এই বিশ্বমঞ্চে ধিকৃত হয়ে। ধিক্কার এই দেশবিরোধী, বাংলাবিরোধী, বর্বর সিপিএমকে।

spot_img

Related articles

সমস্যা মিটিয়ে বিয়ে করবেন স্মৃতি-পলাশ? বড় ঘোষণা সুরকারের মায়ের

বিগত কয়েক দিন ধরেই স্মৃতি মান্ধানা-পলাশ মুচ্ছলের(Palash muchhal-Smriti Mandhana) সম্পর্ক নিয়ে চর্চা তুঙ্গে। বিয়ের দিনেই ঘটেছে বিপর্যয়। তারপর...

একনজরে আজ পেট্রোল-ডিজেলের দাম 

২৮ নভেম্বর (শুক্রবার), ২০২৫ কলকাতায় লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম ১০৫.৪১ টাকা, ডিজেলের দাম লিটার প্রতি ৯২.০২ টাকা দিল্লিতে...

ইচ্ছা থাকলেই উচ্চশিক্ষা: স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে পড়ূয়াদের সংখ্যা পেরলো ১ লক্ষ! খুশি মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী

আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পড়ুয়াদের পাশে দাড়িয়েছিল বাংলার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(mamata banarjee) সরকার। উচ্চশিক্ষায় সহায়ক হওয়ার লক্ষ্যে তৃতীয়বার ২০২১ সালে...

এসআইআরের চাপে হার্ট অ্যাটাক, কাজ করতে করতে মৃত্যু মুর্শিদাবাদের বিএলও-র 

রাজ্যে এসআইআরের (SIR) বলি আরও এক। স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশনের কাজের অত্যাধিক চাপ সহ্য করতে না পেরে এবার হার্ট...