স্ত্রীকে খুন করে দেহ সুটকেসে ভরে শ্বশুর শাশুড়িকে ফোন জামাইয়ের!

মীরাট কাণ্ডের ছায়া এবার পুনেতে। মীরাটে স্ত্রী স্বামীকে খুন করে ড্রামে ভরে রেখেছিলেন, আর পুনেতে ঠিক তার উলটপুরান। স্ত্রীকে খুন করে দেহ সুটকেসে ভরে রাখল স্বামী। দেহ লোপাট করার চেষ্টা করলেও, শেষ রক্ষা হয়নি। শেষ পর্যন্ত শ্বশুর শাশুড়িকে ফোন করে খুনের কথা স্বীকার করে নেয় জামাই এবং তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুণে থেকে গ্রেফতার করা হয় মৃতার স্বামীকে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা গৌরী অনিল সাম্বেকরের  সঙ্গে রাকেশের বেশ কয়েক বছর আগে বিয়ে হয়। সেই সময় দুজনেই চাকরি করতেন। কিন্তু মৃত্যুর কিছুদিন আগে চাকরি চলে গিয়েছিল গৌরীর।  আর তারপর থেকেই শুরু হয় অশান্তি। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, অশান্তির সময় মাঝেমধ্যেই স্ত্রীর গায়ে হাত তুলতেন রাকেশ। গত ২৬ মার্চও অশান্তি শুরু হয়। প্রথমে কথা কাটাকাটি, তারপর স্ত্রীকে মারধর করতে থাকে রাকেশ। এই পরিস্থিতিতে একটি ধারালো ছুরি দিয়ে স্ত্রীর পেটে আঘাত করে সে। শুধু এখানেই থেমে থাকেনি অভিযুক্ত। মৃত্যু নিশ্চিত করতে, স্ত্রীর গলার নলিও কেটে দেয়। তারপরে দেহ লোপাটের জন্য দ্বিগবিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে সেই দেহ একটি সুটকেসের ভেতরে ঢুকিয়ে দেয়। সেই সুটকেস শৌচালয়ে রেখে পুণেতে পালিয়ে যায় রাকেশ।

ওইদিন বিকেলে পুলিশে খবর যায় যে ওই বাড়িতে কেউ আত্মহত্যা করেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখে দরজা বাইরে থেকে তালা বন্ধ। তারা দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকে। কিন্তু কারও আত্মহত্যা করার হদিশ পুলিশ দেখতে পায়নি।শৌচালয়ে একটি সুটকেস তাদের চোখে পড়ে। আর সেই সুটকেস খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের। সুঠকেসের ভিতরে গৌরীর দেহ তারা দেখতে পান। এরপরই অভিযুক্ত রাকেশের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়। পুলিশ গৌরীর বাবা মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে। মোবাইলের কল রেকর্ডস খতিয়ে দেখা হয়।মোবাইলের লোকেশন ট্র্যাক করে দেখা যায় যে রাকেশ পুণেতে আছেন। গ্রেফতার হওয়ার পর জেরায় খুনের কথা স্বীকার করে রাকেশ। কিন্তু স্ত্রীকে কেন খুন করল রাকেশ? কেন পুরো দেহটি সুটকেসে ঢুকিয়ে লোপাট করার চেষ্টা করল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। খুনের প্রকৃত কারণ খোঁজার চেষ্টা করছে পুলিশ।