রাজ্যে ধরা পড়া জাল ও নিম্নমানের ওষুধের উৎস খুঁজতে গিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাজ্য সরকার। বিশেষ করে, দিল্লি, বিহার এবং উত্তর প্রদেশের মতো প্রতিবেশি রাজ্যগুলির সঙ্গে এই চক্রের যোগসূত্র পাওয়া গেছে। এই পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির প্রতি তদন্ত এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যেই বিহার এবং উত্তর প্রদেশ সরকারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে, এবং আগামী সপ্তাহে দিল্লির প্রতি বিস্তারিত তথ্য সহ চিঠি পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

নবান্ন সূত্রে জানা গেছে, দিল্লিতেও জাল ওষুধ তৈরির একাধিক প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। এসব ওষুধে দেশি-বিদেশি নামী কোম্পানির ব্র্যান্ড যেমন ডক্টর রেড্ডি, অ্যাবট, সিপলা ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই ওষুধগুলির মধ্যে কিছু শিডিউল এইচ টু ড্রাগ, যার মোড়কে বার বা কিউআর কোড থাকা বাধ্যতামূলক। তবে, চিহ্নিত ওষুধগুলির কোড স্ক্যান করেও যথাযথ তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে এসব ওষুধ বাজেয়াপ্ত করে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোলকে জানানো হচ্ছে, যাতে সঠিক ওষুধ কিনা তা নিশ্চিত করা যায়।

এছাড়া, উত্তরপ্রদেশের আগ্রা থেকে এই জাল ওষুধগুলি কেনা হয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এই বিষয়ে উত্তরপ্রদেশের ড্রাগ কন্ট্রোলের কাছে তথ্য চাওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা সম্প্রতি গোটা দেশের ১০৪টি ব্র্যান্ডের ওষুধকে গুণগত মানের পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে রাজ্যের দুটি সংস্থার ওষুধও রয়েছে। রাজ্যের সেন্ট্রাল ড্রাগ ল্যাবে ২৭টি এবং রাজ্যের ড্রাগ ল্যাবে ১টি ওষুধ গুণমান পরীক্ষায় পাস করতে পারেনি। কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল এর আগেও ৪৯৭টি ওষুধকে গুণগত মানের জন্য অনুপযুক্ত বলে চিহ্নিত করেছে, যার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের প্রেসারের ওষুধ, প্যারাসিটামল, খিঁচুনি কমানোর ওষুধ, ভিটামিন সি, খাদ্যনালীর সমস্যা সংক্রান্ত চিকিৎসা, পক্সের টিকা এবং অ্যান্টিবায়োটিক অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এমনকি, লিভারের অসুখ এবং স্ত্রীরোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত কিছু ওষুধও বাতিলের তালিকায় স্থান পেয়েছে।


রাজ্য সরকারের কঠোর নজরদারির ফলে ভবিষ্যতে এই ধরনের জাল ওষুধের প্রবাহ বন্ধ করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।


আরও পড়ুন- ওদের ঘুমিয়ে থাকতে দিন! দলের ছাত্র-যুব সংগঠনের বিরুদ্ধেই তীব্র ক্ষোভ কল্যাণের

_

_

_
_

_

_