৩৪ বছর বাংলায় বামেরা কোন সংস্কৃতির প্রচার করেছে, আর বিজেপি গোটা দেশে কোন সংস্কৃতির লালন পালন করছে, তার প্রমাণ মিলেছে অক্সফোর্ডের কেলগ কলেজে (Kellogg College) বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতার দিন। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতা পর্বকে ভেস্তে দিতে পেরেছেন, বলে যে রাম-বামেরা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিপ্লব করার চেষ্টা করছেন তাদের পাল্টা ধুইয়ে দিলেন তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। নিছক ছবি তুলতে যাওয়া ছয়পিস রাম-বামকে কোন রকম তোয়াক্কা না করেই ২৭ মার্চ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অক্সফোর্ডের (Oxford University) শিক্ষাবিদদের থেকে যে সম্মান অর্জন করেছেন, তাতে কার্যত হালে পানি খুঁজতে ব্যস্ত রাম-বামেদের বাঁদরামি করা কর্মীরা।

কেলগ কলেজে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতার সময় যে অসভ্যতামি রাম-বাম কর্মীরা করেছে, তা যে ব্যর্থ হয়েছে তা তাদেরই সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে প্রমাণিত। ব্যর্থ বিপ্লবকে লোকের সামনে তুলে ধরতে তাদের আলাদা করে আবার পোস্ট করতে হয়েছে নিজেদের কীর্তিকলাপ। এরপরই কুণাল ঘোষের কটাক্ষ, ছবিতে দেখা যাচ্ছে যে লোকটা হিন্দু হিন্দু বলে চেঁচাচ্ছিল, তাঁর নাম সুশীল ডোকওয়াল, গলায় বিজেপির (BJP) উত্তরীয়। একে তো ছ’পিস। তাদের মধ্যে আবার লড়াই। এরা বলছে আমরা বেশি অসভ্য, ওরা বলছে আমরা বেশি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সব অসভ্যতা ছক্কা মেরে উড়িয়ে দিয়েছেন।
আদতে বক্তৃতায় বাধা দেওয়ার থেকেও নিজেদের ছবির প্রচারই যে লক্ষ্য ছিল ছয়পিসের, তা নিয়ে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি তৃণমূল রাজ্য নেতা। তাঁর সরাসরি প্রশ্ন, যদি উত্তর দরকার ছিল তাহলে ভাসনে (lecture) বাধা দিতে গেলেন কেন। এই সিপিএম (CPIM) তো বিজেপির (BJP) দিল্লির নেতারা বাইরে বক্তব্য রাখতে গেলে তখন সেখানে বিক্ষোভ করার দম হয় না কেন। আবার সিপিএমের নেতারা, কেরালার মুখ্যমন্ত্রী বাইরে তখন বিজেপি কোথায় থাকে? বাম-রাম মিলেমিশে করেছে। এদের কাছে দেশের সম্মান বড় নয়, বাংলার সম্মান বড় নয়।

বিদেশের মাটিতে দেশের তথা বাংলার সম্মান নিয়ে ছেলেখেলা হওয়ার পর কার্যত ক্ষুব্ধ বাংলার শাসকদল তৃণমূল। এই অসভ্যতামিকে কোনওভাবেই সমর্থন না করে পাল্টা সৌজন্যের পথে তৃণমূল। কুণাল দাবি করেন, যারা বাঁদরামি করেছেন তাদের যদি বুকের পাটা থাকে, কলকাতায় আসার আগে ফেসবুকে পোস্ট করে বিমানে উঠবেন। আমরা ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা করে জানতে চাইব, যে অসভ্যতাটা করেছেন, কেন করলেন।

–

–

–

–

–

–

–
