মাকে শ্বাসরোধ করে খুনের পর গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল ছেলে।শেষ পর্যন্ত রবিবার সকালে পাটুলি থানায় এসে আত্মসমর্পণ করল সেই গুণধর ছেলে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অবসাদ থেকে খুন মাকে বলে জেরায় স্বীকার ছেলের। স্থানীয়রা জানিয়েছিলেন, বুধবার ওই ফ্ল্যাটের ভিতর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখে স্থানীয় পাটুলি থানায় খবর দেন তারা। পুলিশ দরজার তালা ভেঙে মালবিকা মৈত্রর আধপোড়া দেহ উদ্ধার করে। মৃতার মুখে পাশ বালিশ চাপা দেওয়া ছিল বলে দাবি করেন প্রত্যক্ষদর্শীদরা।

প্রসঙ্গত, দক্ষিণ কলকাতার একটি নামী সকুলের প্রাক্তন শিক্ষিকা মালবিকা মৈত্র। তিনি ছেলের সঙ্গে বাঘাযতীনের বিদ্যাসাগর কলোনির ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন। প্রতিবেশীরা জানান, কিছুদিন আগে অস্ত্রোপচার হয়েছিল বৃদ্ধার। তারপর থেকে শয্যাশায়ী ছিলেন। তাকে দেখভালের জন্য আয়া রাখা হলেও, কয়েকদিন আগে তাকে ছাড়িয়ে দেওয়া হয়। বুধবার বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে বৃদ্ধার মৃতদেহ উদ্ধার হলেও, বেপাত্তা হয়ে যান তার ছেলে পেশায় বেসরকারি ব্যাঙ্কের কর্মী অভিষেক মৈত্র।

এমনকী তার মোবাইল ফোন নম্বরে ফোন করা হলে সেটা নট রিচেবল বলছে বলে, পুলিশ সূত্রে দাবি। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন সপ্তাহখানেক আগে তিনি নিজের মোবাইল ফোনের সিমকার্ড বদলেছিলেন। এমনকী তার নতুন নম্বর কারও কাছে ছিল না।তদন্তকারীরা আরও জানতে পেরেছেন, মালবিকা মৈত্রর অ্যাকাউন্ট থেকে সোমবার সাড়ে ৯ লক্ষ টাকা ট্রান্সফার হয়েছিল ছেলের অ্যাকাউন্টে। শুধু তাই নয়, দেখা যাচ্ছে, মাঝেমধ্যেই বৃদ্ধার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা ট্রান্সফার হয়েছে অভিষেকের অ্যাকাউন্টে। অভিষেক মৈত্রর অ্যাকাউন্টে এখন ১৯ লক্ষ টাকা আছে। সেই রহস্যভেদ করতেই পাটুলি থানার পাশাপাশি তদন্তে নেমেছিল লালবাজারের হোমিসাইড শাখা। শেষ পর্যন্ত টাকাই অনর্থ বাধালো বৃদ্ধার জীবনে। শেষ পর্যন্ত ছেলের হাতে খুন হতে হল বৃদ্ধাকে।

–


–


–

–

–

–
–

–

–