ট্র্যাফিক নিয়ম ভেঙে জরিমানায় দেরি হলে বড় শাস্তির মুখে পড়তে পারেন গাড়ির চালক-মালিক!

প্রতীকী ছবি

নিয়ম ভেঙে তার মাশুল দিতেও গাজোয়ারি! এবার সেটা করলে আরও বড় বিপদ হবে। ট্র্যাফিক নিয়ম লঙ্ঘন করে তিনমাসের মধ্যে জরিমানা পরিশোধ না হলে অভিযুক্ত ব্যক্তির লাইসেন্স (Licence) সাসপেন্ড হতে পারে। এর পাশাপাশি, একটি অর্থবর্ষের মধ্যে তিনবার ট্র্যাফিক সিগন্যাল (Traffic Signal) না মেনে বা বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে ধরা পড়লে তিনমাসের জন্য লাইসেন্স সাসপেন্ড করা হতে পারে- পরিকল্পনা কেন্দ্রের।

একটি অর্থ বর্ষ শেষ হয়ে আর শুরু হচ্ছে। তার আগে আয়ব্যয়ের হিসেব মেলাতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে ট্র্যাফিক নিয়ম ভাঙার জন্য এই অর্থবর্ষে যে জরিমানা হয়েছে, তার ৪০ শতাংশ মাত্র আদায় হয়েছে। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, খোদ রাজধানী দিল্লিতেই ই-চালানের মাধ্যমে জরিমানা আদায়ের পরিমাণ সবচেয়ে কম। মাত্র ১৪ শতাংশ জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এর পরে রয়েছে দক্ষিণের তামিলনাড়ু, কর্নাটক, উত্তরের উত্তরপ্রদেশ ও ওড়িশা। মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, বিহার ও হরিয়ানায় জরিমানা আদায়ের পরিমাণ ৬২ থেকে ৭৬ শতাংশ।

এই জরিমানা না দেওয়ার প্রবণতা কেন- সে বিষয়ে দেখা গিয়েছে ত্রুটিপূর্ণ চালান কাটা এর অন্যতম কারণ। জরিমানা আদায়ে রাস্তার ট্যাফিকের ক্যামেরায় বেশ কিছু নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হওয়া পরিকল্পনা রয়েছে। জরিমানা বকেয়া থাকলে, প্রতি মাসে গাড়ির মালিক বা চালককে পরিশোধের জন্য বার বার সতর্কবার্তা পাঠানো হবে। ট্র্যাফিক নিয়ম ভাঙলে গাড়ির মালিক বা চালককে তিনদিনের মধ্যে একটি ই-চালান নোটিশ পাঠানো হবে। নোটিশ (Notice) পাওয়ার পর ৩০ দিনের মধ্যে জরিমানার টাকা দিতে হবে। চাইলে চ্যালেঞ্জ করতে পারেন অভিযুক্ত। ৩০ দিনের মধ্যে যদি গাড়ির মালিক বা চালক কোনও পদক্ষেপ না করেন, তবে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হবে। ৯০ দিনের মধ্যে জরিমানার অর্থ না দিলে ড্রাইভিং লাইসেন্স (Licence) সাসপেন্ড করা হতে পারে।
আরও খবরনারী ক্ষমতায়নে নজর নেই, ‘মহিলা সম্মান সেভিংস সার্টিফিকেট’ প্রকল্প বন্ধ করছে মোদি সরকার