বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না বঙ্গ বিজেপির। এবার রামনবমীর পোস্টার ঘিরে বিতর্ক।উত্তর কলকাতার একাধিক জায়গায় রামনবমীর যে পোস্টার পড়েছে, তাতে জ্বলজ্বল করছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ছবি। বঙ্গ বিজেপির অন্য কোনও নেতার মুখ সেখানে জায়গা পাননি।আসলে এই ঘটনা ফের বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দলকে বেআব্রু করে দিয়েছে।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজ্যে বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করে হিন্দুত্বের সুর চড়াচ্ছে বিজেপি। সাম্প্রদায়িক প্ররোচনার অভিযোগে সরব তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা হলেও শুভেন্দু আগেই ঘোষণা করেছেন, তিনি শুধু হিন্দু ভোটে জিতেছেন। তিনি সকলের নন, শুধু হিন্দুদেরই বিধায়ক!এবার রামনবমীর পোস্টার ঘিরে বিতর্ক দানা বাঁধল।

প্রশ্ন উঠেছে, প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধী দল নেতার ছবি দিয়ে কেন এমন পোস্টার পড়ল? কোনও একটি ধর্মের উৎসবকে সামনে রেখে এভাবে প্রচার করছেন কেন একজন রাজনীতিবিদ।আবার বিশেষ করে দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং রাজ্যের বিরোধী দল নেতার ছবি দিয়ে। এটা সম্পূর্ণ ধর্মীয় মেরুকরণের চেষ্টা বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে।

যদিও শুভেন্দুর বিপরীত মেরুতে অবস্থানকারী বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা করে বলেছেন, এটা কোনও রাজনৈতিক অনুষ্ঠান নয়। আমি একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।আমাকে যদি ডাকে রামনবমীর মিছিলে হাঁটতে। তাহলে অবশ্যই হাঁটব। একজন হিন্দু হিসাবে অবশ্যই হাঁটব। আমরা যে জয় শ্রী রাম বলি, এটা কোনও ধার্মিক স্লোগান নয়। ভুল করে ওরা।


তৃণমূল কংগ্রেস দাবি তুলেছে, সাম্প্রদায়িকতা ইস্যুকে সামনে নিয়ে আসতে চাইছে বিজেপি। তাই এমন পোস্টার দিয়ে বিভাজনের রাজনীতি করছে।যদিও এই বিষয়টিকে ইস্যু করে শাসকদলের মন্ত্রী তথা মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, এখন দেখছি, ওরা একটা নতুন ইস্যু তৈরি করছে। সাম্প্রদায়িকতার ইস্যু। কিন্তু এখন এটাতে খুব বেশি লাভ হবে না। এভাবে ভোট পাওয়া যায় না।বাংলার মানুষ বুঝে গিয়েছে, বিজেপি ধর্মের রাজনীতি করে।


দু’দিন আগে রাজ্য পুলিশ সাংবাদিক বৈঠক করে সতর্ক করেন, কোনও একটি রাজনৈতিক দল শহরে উস্কানিমূলক পোস্টার ফেলতে পারে। তাতে মানুষ যেন পা না দেন। প্ররোচিত না হন।ঠিক দু’দিন পরেই সেটা মিলে গেল। এপ্রিল মাসের শুরুতেই রামনবমী। ওই রামনবমীর সময় পোস্টার পড়বে। অশান্তি তৈরি করার চেষ্টা হবে। তাই মানুষকে সচেতন থাকতে অনুরোধ করা হচ্ছে। এই কথা বলেছিলেন আইপিএস অফিসার সুপ্রতিম সরকার এবং জাভেদ শামিম। আর সেটাই যেন আজ মিলে গেল।

–

–

–
–

–

–
–