ধ্বংসস্তুপে প্রাণের খোঁজ: ধ্বস্ত মায়ানমারে সোমে উদ্ধার অন্তঃসত্ত্বা ও শিশু

মন্দালয় (Mandalay) শহরেও প্রাণের আশা জিইয়ে রেখে উদ্ধার করা হয় এক প্রসূতিকে। প্রায় ৭২ ঘণ্টা ধ্বংসস্তূপে (rubble) আটকে ছিলেন তিনি

কোথাও প্রাণের সন্ধান থাকলেই ছুটে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। কেউ চিন থেকে এসেছেন উদ্ধার করতে, কেউ বা ভারত, রাশিয়া। কেউ সফল হচ্ছেন জীবিত মানুষকে উদ্ধারে। কেউ ধ্বংসস্তূপ (rubble) সরিয়ে খুঁজে পাচ্ছেন নিষ্প্রাণ দেহ। ভূমিকম্প বিধ্বস্ত মায়ানমারে (Mayanmar) সোমবার সকাল থেকে স্বজনহারাদের হাহাকার আর প্রাণে বাঁচার আকুতি। মৃতের সংখ্যা ২০০০ ছুঁয়েছে দাবি উদ্ধারকারীদের। অন্যদিকে ব্যাংককে (Bangkok) এখনও ধ্বংসস্তূপের তলায় আটকে ৭৬ জন।

গোটা মন্দালয় (Mandalay) শহর ও নেইপেইদ (Naypyidaw) শহরের যেন অস্তিত্বই বিলোপ পাওয়ার অবস্থা। তার মধ্যে আশার আলো জ্বেলে শনিবার রাতে চিনা উদ্ধারকারী দল জীবিত বের করে আনতে পেরেছিলেন এক বৃদ্ধাকে। নেইপেইদ শহরের একটি হাসপাতালের ধ্বংসস্তূপের তলা থেকে বৃ্দ্ধাকে বের করে আনার ভিডিও কার্যত ভাইরাল। এরপরই সোমবার সাফল্য ওই শহরেই। দ্য গ্রেট ওয়াল হোটেলের ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে জীবিত বের করে আনা হয় আরেক বৃদ্ধাকে। পাঁচঘণ্টার যুদ্ধ শেষে বৃদ্ধা বেরিয়ে আসতেই হাততালি দিয়ে অভিনন্দন জানানো হয় চিনের উদ্ধারকারী দলকে।

অন্যদিকে মন্দালয় (Mandalay) শহরেও প্রাণের আশা জিইয়ে রেখে উদ্ধার করা হয় এক প্রসূতিকে। প্রায় ৭২ ঘণ্টা ধ্বংসস্তূপে (rubble) আটকে ছিলেন তিনি। চিনের উদ্ধারকারী দল তাঁর সঙ্গে সফলভাবে বের করে আনে আরেক নাবালিকাকেও।

তবে ব্যাংককে (Bangkok) গগনচুম্বি অট্টালিকার (skyscraper) ধ্বংসস্তূপের তলায় আটকে থাকা ৭৬ জনকে এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। যদিও গভর্নর চাদচার্ট এখনও হাল ছাড়তে নারাজ। তাঁর দাবি, তুর্কিতে এক সপ্তাহ পরেও ধ্বংসস্তূপের তলা থেকে মানুষকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এই ধ্বংসস্তূপে এখনও প্রাণের সন্ধান পেয়েছি আমরা। ফলে কোনওভাবেই হাল ছাড়া হবে না।

শুক্রবারের প্রবল ভূমিকম্পের পরে শনিবার ও রবিবারও মায়ানমারের (Mayanmar) একাধিক এলাকায় কম্পন হয়েছে আফটার শকের কারণে। থাইল্যান্ডের (Thailand) ব্যাংককেও নরম মাটিতে কম্পন অনুভূত হয়েছে বার। তার উপর রবিবার মায়ানমারের সাগেইং এলাকায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা লঙ্ঘন করেই বোমাবাজি করেছে জুংটা (Junta)। এই পরিস্থিতিতে জুংটা অধ্যুষিত এলাকায় কোনওরকম সাহায্য পাঠানো হবে না বলেই জানানো হয়েছে মায়ানমারের একটি সূত্রে।

মায়ানমারের পাশে দাঁড়িয়েছে গোটা বিশ্ব। ত্রাণ (relief) ও উদ্ধারকারী দল চিন, ভারত, থাইল্যান্ড ও রাশিয়ার তরফ থেকে পাঠানো হয়েছে শুক্রবার রাতেই। পাশাপাশি সাহায্য ও উদ্ধারকারী দল পাঠানোর বার্তা দিয়েছে ফিলিপিনস, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, আয়ারল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড ও আমেরিকা। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়াদের উদ্ধারে ইতিমধ্যেই বিদেশি সাহায্য চেয়েছে থাইল্যান্ড (Thailand)। সেখানেই সাহায্যের বার্তা বিশ্বের একাধিক দেশের।