বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ নিয়ে এবার বিশেষ পরিকল্পনা শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কের। এবার শহর শিলিগুড়িতে দুবাইয়ের কায়দায় বাঘ দত্তক নিতে পারবে শহরবাসী। স্বপ্ন হলেও সত্যি এবার শহরবাসীর কাছে।

শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি এবার শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারিতে বন্যপ্রাণী দত্তক নেওয়ার সুযোগ। শুধু তাই নয়, বাঘ ভল্লুক এমনকী হাতি কিংবা গন্ডার এখন থেকে দত্তক নিতে পারবেন শিলিগুড়িবাসীরা। নিজের পছন্দসই বন্য জন্তুদের দত্তক নিতে পারবেন সাধারণ মানুষ। অন্য জন্তুদের দত্ত কিংবা তার খাওয়া-দাওয়ার দায়িত্ব নিজের ঘাড়ে নিতে পারেন। তার জন্য এবার ছুটতে হবে না, বিদেশের মাটিতে এবার শহর শিলিগুড়ির মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের বেঙ্গল সাফারি কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে উত্তরবঙ্গ তথা শহরবাসী পেতে চলেছেন এই নয়া উদ্যোগ। তবে কীভাবে নিতে পারবেন বন্য জীবজন্তুদের দত্তক? তার জন্য রয়েছে বিশেষ কিছু নিয়ম। এই বন্য জীবজন্তুদের দত্তক নেওয়ার বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে বেঙ্গল সাফারিতে। কোনও ব্যক্তি এক বছরের জন্য জীবজন্তু কিংবা পাখির অনায়াসেই দায়িত্বভার গ্রহণ করতে পারেন। আবার চাইলে এক বছরের জন্য নির্দিষ্ট বন্য জীবজন্তুর জন্য খাবারের দায়িত্বভার গ্রহণ করতে পারবেন শহরবাসীরা। তবে যাবতীয় বিশেষ নিয়ম ও নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময় দত্তক নেওয়া যেতে পারে বন্য জীবজন্তুদের। আপনি যদি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার দত্তক নিতে চান তবে বিশেষ নিয়মের পাশাপাশি মাসিক কুড়ি থেকে ত্রিশ হাজার টাকার বিনিময়ে দত্তক নিতে পারেন রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। এক্ষেত্রে এক বছরে দু’থেকে আড়াই লক্ষ টাকা খরচ পড়বে। আপনি চাইলে নিতে পারেন চিতাবাঘ, তার জন্য মাসিক ১০ হাজার টাকা খরচ পড়বে। এক্ষেত্রে বাৎসরিক ফি এক লক্ষ টাকা দিতে হবে দত্তক গ্রহণকারীকে। উত্তরবঙ্গের প্রধান আকর্ষণ একশৃঙ্গ গন্ডার যা জলদাপাড়ার বিশেষ বিখ্যাত, আপনি চাইলে সেই গন্ডারকেও দত্তক নিতে পারেন। এক্ষেত্রে মাসিক খরচ ১০ হাজার টাকা, যার বাৎসরিক ফি ১ লক্ষ টাকা কিংবা তার অধিক। এছাড়াও রয়েছে হাতি দত্তক নেওয়ার ব্যবস্থা, যার জন্য আপনাকে সাফারি কর্তৃপক্ষকে দিতে হবে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা বাৎসরিক ফি যা দু’লক্ষ আশি হাজার কিংবা তিন লক্ষ টাকা। এভাবেই ভল্লুক, হরিণ, কচ্ছপ ও পাখিদের দায়িত্বভার গ্রহণ করতে পারবেন। আপনি চাইলে ম্যাকাও কিংবা আফ্রিকান গ্রে প্যারটকে দত্তক নিতে পারবেন মাত্র হাজার টাকার বিনিময়ে।

আরও পড়ুন – ভারতসেরা মোহনবাগান, সবুজ-মেরুন বিজয় উৎসব পালনে উত্তর কলকাতার মোহনবাগান

_


_


_

_

_

_
_

_

_