দুই মালগাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ, ভোররাতে রেলদুর্ঘটনা ঝাড়খণ্ডে

প্রতিমাসে একাধিক রেল দুর্ঘটনা যেন ভারতীয় রেলের অপদার্থতাকে বারবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। ঝাড়খণ্ডের দুই মালগাড়ির সংঘর্ষের পর প্রশ্ন উঠছে এক লাইনে দুটো ট্রেন আসে কেমন করে?

মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৩টে নাগাদ ঝাড়খণ্ডের (Rail Accident in Jharkhand) সাহেবগঞ্জের ভোগনাদি এলাকায় একই লাইনে দুটি মালগাড়ি চলে আসায় মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হল দুই লোকো পাইলটের। পরবর্তীতে আরও একজনের ঝলসানো দেহ উদ্ধার হয়েছে। অর্থাৎ মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩। ওড়িশার পর ঝাড়খণ্ডের ট্রেন দুর্ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে রেলের নিরাপত্তা। কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ ভারতীয় রেলে (Indian Railways) দুর্ঘটনায় সিরিজ অব্যাহত। দুই মালগাড়ির সংঘর্ষে চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।দুর্ঘটনার দায় এড়াতে এনটিপিসির লাইনকে প্রাইভেট বলে দাবি করে বিবৃতি দিয়েছে ভারতীয় রেল।

প্রতিমাসে একাধিক রেল দুর্ঘটনা যেন ভারতীয় রেলের অপদার্থতাকে বারবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। ঝাড়খণ্ডের দুই মালগাড়ির সংঘর্ষের পর প্রশ্ন উঠছে এক লাইনে দুটো ট্রেন আসে কেমন করে? জানা গেছে, এনটিপিসির একটি মালগাড়ি কয়লা বোঝাই করে ফারাক্কা থেকে লালমাটিয়ার দিকে যাওয়ার সময় বারহাইতে সিগন্যালের জন্য অপেক্ষা করছিল। সেই সময় উল্টো দিক থেকে আসা অন্য একটি মালগাড়ি সজোরে ধাক্কা মারে ওই ট্রেনে। সংঘর্ষের তীব্রতা এতটাই ছিল যে দুটি ট্রেনই লাইনচ্যুত হয়ে যায় এবং আগুন ধরে যায়। দ্রুত ভদ্রাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভান দমকল কর্মীরা।দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া ইঞ্জিন থেকে একজন লোকো পাইলটের দেহ উদ্ধার করা হলেও দ্বিতীয় মৃতদেহ এখনো বের করা সম্ভব হয়নি।দমকল কর্মীরা জানিয়েছেন ইঞ্জিনটিতে সাতজন ছিলেন, তাঁদের মধ্যে ঘটনাস্থলে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে এবং চারজন আহত হয়েছেন। একজন শ্রমিক ইঞ্জিনে আটকে পড়লে তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বারহাইত সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। আহতরা সকলে রেল কর্মী এবং সিআরপিএফ জওয়ান বলে জানা গেছে, তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষে জেরে রেল ট্র্যাকেরও যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে। কীভাবে দুর্ঘটনা তা খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে ইঞ্জিনিয়াররা পৌঁছেছেন।