কানে ইয়ারফোন! টয়ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু কার্শিয়ংয়ের ছাত্রীর, বিক্ষোভ

সোমবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে মৃত ছাত্রীর নাম রশনি রাই। ১২ বছরের ওই কিশোরীকে কার্শিয়ং বাজারের (Kurseong bazar) কাছে তাকে ধাক্কা মারে

অসতর্কভাবে রেললাইন পার হতে গিয়ে টয়ট্রেনের ধাক্কায় কার্শিয়ংয়ে (Kurseong) মৃত্যু হল এক তরুণী ছাত্রীর। সোমবার গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। একদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা যখন দাবি করছেন, কানে ইয়ারফোন (ear phone) থাকায় টয়ট্রেনের (toy train) হর্ন শুনতে পাননি ছাত্রী। অন্যদিকে পরিবারের দাবি, লাইনে তরুণীকে দেখেও কেন ট্রেন দাঁড় করাননি চালক। প্রতিবাদে মঙ্গলবার কার্শিয়ং স্টেশনে বিক্ষোভে সামিল হন মৃতার পরিবার।

সোমবার দার্জিলিং থেকে জলপাইগুড়িগামী একটি টয়ট্রেনে কার্শিয়ংয়ের কাছে ধাক্কা লাগে এক পড়ুয়া ছাত্রীর। ধাক্কা লাগার পরে তাঁকে অনেকটা টেনে নিয়ে যায় ট্রেনটি। স্থানীয়দের চিৎকারে ট্রেন থামলে উদ্ধার করে প্রথমে কার্শিয়ং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে (North Bengal Medical College) নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই সোমবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে মৃত ছাত্রীর নাম রশনি রাই। ১২ বছরের ওই কিশোরীকে কার্শিয়ং বাজারের (Kurseong bazar) কাছে তাকে ধাক্কা মারে ট্রেনটি।

টয়ট্রেনের (toy train) লাইন পারাপার নিয়ে স্থানীয় মানুষের উদাসীনতা নতুন নয়। মন্থর গতির ট্রেন চলা নিয়ে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল প্রতিনিয়তই সেখানে দেখা যায়। নিহত তরুণী মকাইবাড়ি চা বাগানের কাইলাপানি এলাকার বাসিন্দা। প্রত্যক্ষদর্শীরা দাবি করেন, কানে ইয়ারফোন (ear phone) থাকায় ট্রেনের আওয়াজ পায়নি ওই তরুণী। যদিও পরিবারও তরুণীর প্রতিবেশীরা দায়ী করছেন চালককেই। দুর্ঘটনার দায় টয়ট্রেন চালকের উপর চাপিয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা কার্শিয়ং স্টেশনে (Kurseong station)। তাঁদের দাবি, রেলের তরফ থেকে টয়ট্রেন পরিষেবার পরিকাঠামো আরও জোরদার হওয়া প্রয়োজন। বিক্ষোভের জেরে সকাল থেকে বন্ধ হয়ে যায় টয়ট্রেন পরিষেবা।