মুহূর্তের ভুল! কর্মজীবনের শেষদিনেই চালক গঙ্গেশ্বরের জীবনের ইতি

কার ভুলে শোকের ছায়া জিয়াগঞ্জে (Jiaganj), প্রমাণ করবে তদন্ত। তবে গঙ্গেশ্বর ভুল করেছেন, কোনওভাবেই ভাবতে পারছে না জিয়াগঞ্জ

0
5

এনটিপিসির সাহেবগঞ্জ শাখার লাইনে বরাবর মালগাড়ি চালিয়ে অভ্যস্থ গঙ্গেশ্বর মাল। সেই লাইনই যে তাঁর প্রাণ নেবে তা হয়তো তিনি নিজেও ভাবেননি। চিরদিনের সুনাম ও ভালোবাসা পাথেয় করে কর্মজীবন শেষ করার পথে ছিলেন গঙ্গেশ্বর। কিন্তু দুই মালগাড়ির (goods train) মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত দুই গাড়ি চালকের মধ্যে একজন হয়ে রয়ে গেলেন গঙ্গেশ্বর। তাঁর জন্য সাজানো ফেয়ারওয়েলও (fairwell) রয়ে গেল অধরা।

মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের (Jiaganj) বাসিন্দা গঙ্গেশ্বর মাল শুধু এনটিপিসি-তে (NTPC) নয়, নিজের এলাকাতেও ছিলেন জনপ্রিয়। তাঁর কাজের জন্য এনটিপিসি তাঁকে পাঁচ বছর এক্সটেনশন দিয়েছিল। সেই কর্মজীবনও ৩১ মার্চ তাঁর শেষ হওয়ার কথা ছিল। মালগাড়ি জমা দিয়ে ফেয়ারওয়েল নিয়ে ঘরে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু কোনও কথাই আর মিলল না।

এনটিপিসি-র লুপ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়ির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় আরেক কয়লা বোঝাই মালগাড়ির। সংঘর্ষের জেরে আগুন লেগে পুড়ে মৃত্যু হয় দুই ট্রেনের চালকের। কেন লুপ লাইনে দুই ট্রেন চলে গেল, তা নিয়ে তদন্ত করবে এনটিপিসি (NTPC) কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তদন্তের ফলাফল শোনা হবে না গঙ্গেশ্বরের। তাঁর মৃত্যুর আঘাত শুধুমাত্র তাঁর পরিবারের উপর পড়েনি, গোটা জিয়াগঞ্জ শোকস্তব্ধ এই মৃত্যু সংবাদে।

জিয়াগঞ্জ পুরসভার একমাত্র সুইমিং পুলটি গঙ্গেশ্বরের উদ্যোগেই গড়ে উঠেছিল। অবসর নিয়ে তাঁকেই সেই সুইমিং পুলের প্রশিক্ষক করার পরিকল্পনাও ছিল স্থানীয়দের। কিন্তু সব পরিকল্পনায় জল ঢেলে দিলেন এনটিপিসির ট্রেন চালক। কার ভুলে শোকের ছায়া জিয়াগঞ্জে (Jiaganj), প্রমাণ করবে তদন্ত। তবে গঙ্গেশ্বর ভুল করেছেন, কোনওভাবেই ভাবতে পারছে না জিয়াগঞ্জ।