Sunday, August 24, 2025

‘অমানবিক, বেআইনি’: যোগী সরকারের বুলডোজার নীতিকে ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের

Date:

পছন্দসই না হলেই বুলডোজার (bulldozer)। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে কার্যত বুলডোজার দিয়ে দমিয়ে রাখার নীতি বর্তমান বাস্তব। আদালত একাধিকবার ভর্ৎসনা করলেও বদল হয়নি সেই নীতির। এবার শীর্ষ আদালতে ভর্ৎসিত যোগীরাজ্যের প্রয়াগরাজ উন্নয়ন পর্ষদ (Prayagraj Development Authority)। মানুষের মৌলিক বাসস্থানে অধিকার আর প্রশাসনের নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে কাজ করার পদক্ষেপ নিয়ে যে ছেলেখেলা করেছে প্রশাসন, তার কড়া সমালোচনা করে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সেই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে প্রত্যেকটিকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ শীর্ষ আদালতের।

প্রয়াগরাজে বুলডোজার চালিয়ে বাড়ি ভাঙার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তরা দ্বারস্থ হন সুপ্রিম কোর্টের। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন এক আইনজীবী, একজন অধ্যাপক ও আরও তিনজন। সেই মামলায় বিচারপতি অভয় এস ওকা পর্যবেক্ষণে কার্যত যোগী প্রশাসনের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। যেখানে ১৮ ডিসেম্বর বাড়ি ভাঙা সংক্রান্ত হুঁশিয়ারি দিয়ে নোটিশ জারি হয়, সেখানে সেই নোটিশ পৌঁছায়ইনি অভিযোগকারীদের বাড়িতে। অথচ সেই দিনই দুবার নোটিশ পাঠানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ার উল্লেখ করা হয়েছে।

আবার সেই একই নোটিশ ২১ জানুয়ারি টাঙিয়ে দেওয়ার উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ ২১ তারিখে সেই নোটিশ রেজিস্টার্ড পোস্টে (registered post) পাঠানো হয়। সেই নোটিশ পোস্ট (registered post) মারফৎ ৬ মার্চ পৌঁছায় অভিযোগকারীদের কাছে। আর ৭ তারিখেই বাড়ি ভাঙার (bulldozed) কাজ শুরু হয়। কীভাবে মানুষ বাড়িতে উপস্থিত কি না, তা না দেখেই নোটিশ টাঙিয়ে দিয়েই দাবি করা হয়েছে, নোটিশ জারি হয়েছে। প্রশাসনের কাজের পদ্ধতি নিয়ে এভাবেই প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি।

যার বাড়ি ভাঙা হচ্ছে, তিনি কোনও বক্তব্য রাখার সুযোগই পাননি। সেক্ষেত্রে অভিযোগকারীর পক্ষের আইনজীবী দাবি করেন, নতুন করে বাড়ি তৈরির ক্ষমতা তাঁদের নেই। প্রয়াগরাজ ডেভেলপমেন্ট অথরিটিকে (Prayagraj Development Authority) নির্দেশ দেওয়া হয় প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্তকে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে।

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...
Exit mobile version