প্রয়োজন ফুরিয়েছে! ভেঙে ফেলা হল বার্নপুরের সেলের ইস্কো কারখানার বহু পুরনো পাঁচটি কুলিং টাওয়ার । রবিবার, বেলা সওয়া ১২টা নাগাদ। এই কাজে বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়া হল। কারণ, এগুলি তৈরি করা হয়েছিল বিদেশি প্রযুক্তিতেই।

জানা গিয়েছে, কারখানার সম্প্রসারণের জন্যই পুরনো কুলিং টাওয়ারগুলো ভেঙে ফেলা হল। দূর থেকে এই টাওয়ারগুলোই ছিল কারখানার পরিচিতি। সেই টাওয়ার ভাঙার দৃশ্য দেখতে কারখানার বাইরে বহু মানুষ ভিড় করেন। ইস্কো কারখানার এই কুলিং টাওয়ারগুলি শতাব্দীপ্রাচীন। কথিত আছে, স্যার রাজেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের আমলে এই কুলিং টাওয়ারগুলি বানানো হয়েছিল৷ কারও দাবি, স্যার বীরেন মুখোপাধ্যায়ের আমলে বিদেশি প্রযুক্তির দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। কারখানার বিভিন্ন বিভাগের উত্তপ্ত গরম জলকে ঠান্ডা করে আবার ফিরিয়ে দিত এই পাঁচটি কুলিং টাওয়ার। কার্যত রিসাইক্লিং পদ্ধতিতে গরম জলকে শীতল করার কাজ পরিপূর্ণ করত এই কুলিং টাওয়ারগুলি, জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

ইস্কোর তরফে জানানো হয়েছে, বর্তমান প্রযুক্তিতে এই বিরাট আকারের কুলিং টাওয়ারের আর প্রয়োজন নেই৷ এখন ডব্লুটিপি পদ্ধতি বা ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টেই কুলিং টাওয়ারের কাজ হয়ে থাকে৷ তাই অত বড় জায়গা দখল করে রাখা এই কুলিং টাওয়ারগুলি ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সেল। বর্তমানে ৩৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে ইসকো কারখানার আধুনিকীকরণের কাজ চলছে। এই নতুন কারখানায় ৭০ লক্ষ টন ইস্পাত উৎপাদন হবে। ফলে ইস্কো এশিয়ার বৃহত্তম কারখানা হিসেবে চিহ্নিত হবে।

আরও পড়ুন – শুভমন-ওয়াশিংটনের বিধ্বংসী পার্টনারশিপে বিরাট জয় গুজরাতের, শততম উইকেট সিরাজের


_


_

_

_

_
_

_

_