চোটের জন্য প্রথম লেগের ম্যাচে খেলতে পারেননি। ঘরের মাঠে ফিরতি লেগেও আপুইয়া খেলবেন কিনা তা নিয়ে ধন্দ ছিল। এখনও পুরোপুরি সুস্থ নন। কিন্তু দলকে ফাইনালে পৌঁছতে মরিয়া ছিলেন। মোহনবাগানের সঙ্গে তাঁর আবেগটা যে কতটা সেটা বোধহয় সোমবারই যুবভারতীতে বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন আপুইয়া রালতে(Apuia Ralte)। পুরোপুরি ফিট নন, কিন্তু মাঠে নেমে পড়লেন। কারণ দলকে জেতাতে হবে। তাঁর গোলেই আইএসএলের(ISL) ফাইনালে পৌঁছল মোহনবাগান(MBSG)।

এবারের আইএসএলের শুরু থেকেই দুরন্ত ফর্মে রয়েছে মোহনবাগান সুপারজায়ান্ট(MBSG)। প্রাক্তন থেকে বিশেষজ্ঞ, সকলের কাছেই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দাবীদার ছিল তারা। শুরু থেকেই প্রস্তুতির পাশাপাশি টিম বন্ডিং সেশনের ওপর বিশেষ জোর দিচ্ছিলেন হোসে মোলিনা(Jose Molina)। সেটারই ফল বোধহয় এদিন পেলেন তিনি। ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য নয়। টিমগেমই এই মোহনবাগানের মূলমন্ত্র।

সেই কারণে দলকে জেতানোর জন্য ঝুঁকি নিয়েই মাঠে নেমে পড়েছিলেন আপুইয়া(Apuia Ralte)। এই ম্যাচে নামার আগেও সেভাবে প্রস্তুতি সারতে পারছিলেন না। কিন্তু মনে জেদটা ছিল। হতাশ করলেন না হোসে মোলিনাকে।

ম্যাচ শেষ হওয়ার পর সম্প্রচারকারী সংস্থায় আপুইয়া জানান, “ভারত বনাম বাংলাদেশ ম্যাচের সময়ই গোড়ালীতে চোট পেয়েছিলাম। বেশ ভয়ও পেয়ে গিয়েছিলাম। তবে এখানে আসার পর এমআরআই হয়। চোট বিরাট না হলেও, চিন্তা একটু ছিলই। সেই সময়ই ফিজিও, মেডিক্যাল দলের সাহায্যে ধীরে ধীরে সেরে উঠতে আরম্ভ করি। আমি কিন্তু এখনও পুরোপুরি সুস্থ নই”।


এদিন ম্যাচ শুরু হওয়ার আগেও জেমি ম্যাকলরেনের(Jamie Maclaren) মুখে এই এক কথাই শোনা গিয়ে্ছিল। অস্ট্রেলিয়ার সেরা তারকা তিনি। তারওপর বক্স স্ট্রাইকার। কিন্তু ব্যক্তিগত স্বার্থ নয়। দলগতভাবে খেলাটাই ছিল তাদের অন্যতম ফোকাস। ম্যাচে নামার আগে বারবার সেই কথাই শোনাগেছে ম্যাকলরেন, দিমিত্রি পেত্রাতোসের(Dimitri Petratos) মুখ থেকে। মাঠে নেমে আপুইয়াও সেটাই প্রমাণ করলেন। চোট পুরোপুরি সারেনি।


ফাইনালের আগে আপাতত হাতে কয়েকটা দিন সময় রয়েছে। সেই সময়ের মধ্যে আপুইয়া(Apuia Ralte), মনবীররা(Manvir Singh) পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতেই পারবেন। মোলিনাও বোধহয় এখন থেকেই ছক সাজাতে শুরু করে দিয়েছেন। গতবার হাবাস পারেননি। এবার মোলিনা পারেন কিনা সেটাই দেখার।

–

–

–
–

–

–