যোগীরাজ্যে সাতদিন ধরে গণধর্ষণ! ২৩ জন মিলে অত্য়াচার দ্বাদশের ছাত্রীকে

হোটেলে নিয়ে গিয়ে বারবার ধর্ষণের শিকার হয় ওই ছাত্রী। ২৩ জন তাকে ধর্ষণ (gang rape) করে বলে অভিযোগ। এই অভিযুক্তদের অনেকেই ছাত্রীর পূর্ব পরিচিত

প্রতীকী ছবি

মাদক মেশানো তরল। সেটা পান করার পর সবটাই ধোঁয়াশা দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ার কাছে। সাতদিন একই এলাকার এক এক হোটেল তার শরীর নিয়ে কার্যত ছেলেখেলা করেছে ২৩ জন। নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) নিজের কেন্দ্র বারাণসী (Varanasi) নিয়ে যখন গোটা বিশ্বে ঢেঁড়া পেটাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, তখন দ্বাদশ শ্রেণি বারাণসীতেই ধর্ষিতা হচ্ছেন সাতদিন ধরে। অভিযোগ জানানোর পরে দুর্ভাগ্যজনকভাবে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ আবার ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে গোটা ঘটনা। দায় চাপানোর চেষ্টা হয়েছে অভিযোগকারী ছাত্রীর উপর।

বারাণসীর এই ঘটনায় যোগীরাজ্যে সাধারণ নিরাপত্তাকেই প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিয়েছে। যে যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) একাধিক রাজ্যে বার, নাইটক্লাব চলা নিয়ে তো বটেই, মাংস খাওয়া নিয়ে নিত্য দিন ফতোয়া জারি করেন, সেই উত্তরপ্রদেশেই হোটেলে দেহ ব্যবসা থেকে বার, হুক্কা-বারের (hukkah-bar) পরিস্থিতির ছবিটা স্পষ্ট হয়ে গেল।

নির্যাতিতা ছাত্রীর অভিযোগ, ২৯ মার্চ এক বন্ধুর সঙ্গে একটি হুক্কা-বারে গিয়েছিল সে। অভিযুক্তরা কয়েকজন সেখানে গিয়েছিল। সেখানেই তার পানীয়তে মাদক মেশানোর অভিযোগ ওঠে। এরপর বারাণসীর সিগরা এলাকার একাধিক হোটেলে জোরপূর্বক নিয়ে যাওয়া হয়। প্রতিটি হোটেলে নিয়ে গিয়ে বারবার ধর্ষণের শিকার হয় ওই ছাত্রী। ২৩ জন তাকে ধর্ষণ (gang rape) করে বলে অভিযোগ। এই অভিযুক্তদের অনেকেই ছাত্রীর পূর্ব পরিচিত বলেও জানায় সে।

৪ এপ্রিল পরিবারের তরফ থেকে একটি নিখোঁজ ডাইরি করা হয় লালপুর থানায় (Lalpur police station)। ৪ তারিখেই নিখোঁজ ছাত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর ৬ এপ্রিল ফের লালপুর থানায় গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়। ছাত্রীর দাবি, পূর্ব পরিচিত হওয়ায় একজনের সঙ্গে সে একটি হুক্কা-বারে (hukkah-bar) গিয়েছিল। কিন্তু সেখান থেকে তাকে মাদক খাইয়ে একের পর এক হোটেলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়। ১১ জন ধর্ষককে চিহ্নিত করেছে ওই ছাত্রী। বাকীদের ফোন করে ডেকে আনার অভিযোগ জানিয়েছে।

যদিও পুলিশ গোটা ঘটনাটিকে ছাত্রীর ঘাড়ে চাপানোর প্রাথমিক চেষ্টা করে। ছাত্রী নিজের ইচ্ছায় হুক্কা-বারে যায় বলে দাবি করে ঘটনাকে লঘু করে দেখানোর চেষ্টা করা হয়। সেই সঙ্গে উদ্ধার হওয়ার দুদিন পরে কেন গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। যদিও ইতিমধ্যেই সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তদন্তে নেমেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে ৬ জনকে।