দলীয় সাংসদের আচরণে রুষ্ট কল্যাণ: দল এককাট্টা, বার্তা কুণালের

হয়তো কোনও ইস্যুতে বাদানুবাদ হয়ে গিয়েছে। এটা দিয়ে তৃণমূলের সংসদীয় দলের (TMC Parliamentary Committee) বিচার হয় না

ছিদ্রান্বেষী বিজেপি হঠাৎ প্রবল উৎসাহে দুই সাংসদের মত পার্থক্যকে সামনে এনে বাজার গরম করার চেষ্টায়। যে বঙ্গ বিজেপির প্রতিদিনের অনুষ্ঠানে এক নেতা উপস্থিত থাকলে অন্য নেতা যান না, তারাই এবার সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee) ও সাংসদ মহুয়া মৈত্রর (Mahua Maoitra) বাগযুদ্ধ নিয়ে হঠাৎই ময়দানে নামার চেষ্টায়। তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তৃণমূল এককাট্টাই রয়েছে। আবার এই সাংসদরাই সংসদে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হবে, দাবি শাসকদলের। বিজেপিকে তাঁদের গোষ্ঠী সামলানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।

সংসদে শুক্রবারের অধিবেশনের সময় সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সাংসদ মহুয়া মৈত্রর মধ্যে মত বিরোধ হয়। সংসদ (Parliament) কক্ষের বাইরেও সেই বিবাদ চলে। সংসদের অধিবেশনে বক্তব্য রাখাকে কেন্দ্র করে মত পার্থক্য হয় দুই পোড় খাওয়া সাংসদের। সেই পর্বে আরও কয়েক জন তৃণমূল সাংসদ মহুয়ার পক্ষে কথা বলেন। সেই তালিকায় সাংসদ কীর্তি আজাদ (Kirti Azad) ও সাংসদ সৌগত রায়ও (Saugata Roy) ছিলেন। আর বর্ষিয়ান দলীয় নেতৃত্বের আচরণে ক্ষুব্ধ হন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerje)।

দীর্ধদিন ধরে লোকসভায় বিভিন্ন ইস্যুতে সম্প্রতি সরব হতে দেখা গিয়েছে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কেই। এরপরেও তাঁকে ঘিরে অন্য সাংসদদের মন্তব্যে আঘাত পান কল্যাণ। সেই কথা তিনি প্রকাশ্যে জানান। পাল্টা মহুয়া মৈত্র বা কীর্তি আজাদ কিছু না বললেও মুখ খোলেন সৌগত রায়। যদিও একটি ইস্যুকে ঘিরে সংসদীয় কমিটির (TMC Parliamentary Committee) এই বিবাদকে মোটেও গুরুত্ব দিতে চাইছে না তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ জানান, এতবড় পরিবার। আবার দেখবেন সবাই একসঙ্গে আছেন। হয়তো কোনও ইস্যুতে বাদানুবাদ হয়ে গিয়েছে। এটা দিয়ে তৃণমূলের সংসদীয় দলের (TMC Parliamentary Committee) বিচার হয় না। আবার এই তৃণমূল এককাট্টা হয়ে সংসদে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়।

অথচ এই ঘটনাকে নিয়ে রাজনীতির নোংরা ময়দানে নামার চেষ্টায় বিজেপি। আইটি সেল থেকে অপপ্রচার ও বিকৃত করে ঘটনাকে পেশ করা শুরু হয়। সেখানেই পাল্টা কুণাল ঘোষ দাবি করেন, এতজন হেভিওয়েট সাংসদ। বড় পরিবারে হয় এরকম। এটা কোনও বিষয়ই নয়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘিরে কদিন আগেই দেখলাম কত সুন্দর পরিবার। বিজেপি কুৎসা করছে। দলীয় নেতৃত্ব বিষয়টি জানে। তাঁরাই ব্যবস্থা নেবে।