Saturday, August 23, 2025

শিশু সাথী থেকে টেলি মেন্টাল হেলথ: স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে উন্নয়নের দিশা বাংলাই

Date:

Share post:

বাংলার মা-মাটি-মানুষের সরকারের সৌজন্যে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। এই পরিবর্তন শুধু পরিসংখ্যানেই নয়, লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মস্তিষ্কপ্রসূত বিভিন্ন প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নই বাংলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে উন্নয়নের দিশা দিয়েছে।

বাংলায় স্বাস্থ্যসাথীর মতো প্রকল্পগুলি বিপ্লব এনেছে জনস্বাস্থ্যে। এই সব প্রকল্পের হাত ধরে আজ কোটি কোটি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার। ‌বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে চলেছে নিরন্তর। শুধু স্বাস্থ্যসাথীই (Swasthasathi) নয়, চোখের আলো, শিশু সাথী, ন্যায্যমূল্যের ওষুধ বিপণী, ফেয়ার প্রাইস ডায়াগনস্টিক সেন্টার, টেলিমেন্টাল হেলথ প্রকল্প চালু করা হয়েছে বাংলার মানুষ স্বাস্থ্যসেবা দিতে। আর সব উদ্যোগই নিয়েছেন বাংলার মানবিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

পরিসংখ্যান বলছে, স্বাস্থ্য সাথীতে ২.৪৫ কোটি পরিবারের ৮.৫১ কোটি মানুষ অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। তার মধ্যে ৮৫ লক্ষের বেশি উপভোক্তা ১১,০৯৮.৪৬ কোটি টাকার পরিষেবা পেয়েছেন। চোখের আলোয় ১.৩৫ কোটি মানুষের চক্ষু পরীক্ষা করা হয়েছে। তার মধ্যে ১২.৪৫ লক্ষ মানুষের ছানি অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে। ১৪.৪৮ লক্ষ মানুষকে বিনামূল্যে চশমা বিতরণ করা হয়েছে। শিশু সাথী প্রকল্পে ৩২,০০০ জন্মগত হৃদরোগের চিকিৎসা করা হয়েছে।

১০,০০০টি ক্লেফট লিপ বা প্যালেট ও ক্লাব ফুটের চিকিৎসা করা হয়েছে। মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যেও উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছে রাজ্য। ৯৯ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব হচ্ছে। মাতৃ মৃত্যুহার কমে এখন ১০৩। ২০১১ সালে ছিল ১১৩। শিশু মৃত্যুহার কমে ১৯। ২০১১ সালে ছিল ৩৪। শিশু টিকাকরণ ১০০ শতাংশ সম্পূর্ণ। ২০১১ সালে ছিল ৬৫ শতাংশ। স্বাস্থ্য ইঙ্গিত প্রকল্পে ৪.৭৩ কোটি টেলি-পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন ৭০,০০০ মানুষ উপকৃত হচ্ছেন। ১১৭টি ন্যায্য মূল্যের ঔষধের দোকান পরিষেবা দিচ্ছে। সেখানে মূল দামের ওপর ৪৮ থেকে ৮০ শতাংশ ছাড় মিলছে। ৩,০০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে সাধারণের। ফেয়ার প্রাইস ডায়াগনস্টিকের ১৭০টি ইউনিট কার্যকর রয়েছে রাজ্যে। সেখানে ২.৬৮ কোটি রোগীকে পরিষেবা প্রদান করা হয়েছে ১,৭৮৫.২৫ কোটি টাকার। এছাড়া ৩১টি ব্লাড ব্যাঙ্ক তৈরি হয়েছে মা-মাটি-মানুষের সরকারের আমলে। ২০১১ সালে ছিল ৫৮টি। মোট ৮৯টি ব্লাড ব্যাঙ্ক কাজ করছে রাজ্যে। ৪০টি ব্লাড কম্পোনেন্ট সেপারেশন ইউনিট চালু হয়েছে।৬৯টি ব্লাড স্টোরেজ ইউনিট নিকটবর্তী ব্লাড ব্যাঙ্কের সঙ্গে যুক্ত।

টেলি মেন্টাল হেল্থে ৮৩,৬৫৯ জন রোগী ও তাঁদের আত্মীয়দের কাউন্সেলিং করা হয়েছে। ৫ লক্ষ রোগীর চিকিৎসা হয়েছে মানসিক স্বাস্থ্যসেবার মাধ্যমে।

spot_img

Related articles

প্রকাশ্যে মদ্যপানের প্রতিবাদ করায় বেলঘরিয়ায় আক্রান্ত শিক্ষক

তাঁর অপরাধ কী? তিনি রাস্তার ধারে বসে থাকা কয়েকজন যুবক যুবতীকে মদ্যপান করতে দেখে প্রতিবাদ করেছিলেন। তাই রাস্তায়...

কাদের নিয়ে দুর্নীতি থামাবেন: বিজেপির চার মহারথীর তথ্য তুলে তুলোধনা তৃণমূলের

দুর্নীতি দমনে মোদির মিথ্যাচার বারবার ফাঁস করেছে তৃণমূলই। অথচ বারবার বিজেপির ওয়াশিং মেশিনে গিয়ে অন্য দলের নেতারা যেভাবে...

কালা আইনের জন্য JPC একটা নাটক: তৃণমূলের কেউ থাকবে না কমিটিতে

তৃতীয় মোদি সরকারের জমানায় যতগুলি আইন পাশের জন্য বিল এসেছে, বিরোধীদের চাপে পড়ে সেগুলি সংসদের যৌথ সংসদীয় কমিটিতে...

অসুস্থ রুক্মিণী, পাশে নেই দেব !

ভালো নেই টলিউডের 'বিনোদিনী'(Binodini)। গ্ল্যামার হারিয়ে চোখে মুখে শুধুই অসুস্থতার ছাপ। দশ বছর আগের ছবি মুক্তি ঘিরে প্রাক্তনের...