আক্রান্ত পুলিশ, কসবাকাণ্ডে চাকরিহারাদের বিরুদ্ধে মামলায় ক্ষোভ! যাদবপুরের ঘটনা মনে করালেন কুণাল – দেবাংশু

কসবায় ডিআই অফিস অভিযানে পুলিশকে আক্রমণ, নিয়ম ভেঙে জোর করে সরকারি অফিসে ঢোকার চেষ্টার কারণে এবার বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে জোড়া মামলা দায়ের হল। বুধবারের ঘটনায় পুলিশি বক্তব্যে সাফ দাবি করা হয়, প্রথমে আক্রমণের মুখে পড়ে পুলিশই। তার পরেই ‘আত্মরক্ষার্থে’ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে তারা। এরপর বৃহস্পতিবার কসবা ডিআই-র (Kasba DI Office) করা অভিযোগের ভিত্তিতে হয়েছে, এবং কসবা থানার পুলিশের তরফে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা (Case Filed) করা হয়েছে। বিতর্ক শুরু হতেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার কথা মনে করিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। স্যোশাল মিডিয়ায় বিরোধীদের আক্রমণ করেছেন দেবাংশু ভট্টাচার্যও (Debagnshu Bhattacharya)।

চাকরিহারাদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী (CM)। যোগ্য শিক্ষকদেরদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এই সপ্তাহেই বৈঠকে বসবেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। বুধবারই শিক্ষা দফতরের বেতনের পোর্টাল খুলে দেওয়া হয়েছে। কোথাও কোনও টার্মিনেশন লেটার পাঠানো হয়নি। তারপরেও কেন DI অফিসে গিয়ে আন্দোলন, সে প্রশ্ন তুলেছিলেন ব্রাত্য। তিনি জানিয়েছিলেন একদিকে সরকারের সঙ্গে কথা অন্যদিকে এইরকম ধ্বংসাত্মক আন্দোলন, দুটো পরস্পর বিরোধী কাজ চলতে পারে না। কুণাল সাংবাদিকদের বলেন, DI অফিস কি শিক্ষকদের চাকরি দিতে পারে? চাকরিহারাদের আবেগ নিয়ে খেলা করছেন বিরোধীরা। পুলিশের উপর হামলার বিষয়টি লঘু করে দেখিয়ে যেভাবে লাঠিচার্জের ঘটনা এবং পরবর্তী মামলা দায়ের নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে তার পাল্টা জবাব দিয়েছেন কুণাল- দেবাংশু। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা মনে করিয়ে কুণাল লেখেন, ‘শিক্ষকদের উপর পুলিশ বাধ্য হয়ে অ্যাকশন নিলে খারাপ। আর অধ্যাপককে বামরাম ছাত্ররা লাথি মারলে ভালো!!চ্যানেলগুলো এই ফুটেজটা একটু চালিয়ে তুলনা করলে ভালো হয়। নাকি এগুলো সময়মত লাইব্রেরি থেকে আসে না?’

অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্রকে লাথি মারার ঘটনায় কেন চুপ ছিলেন? বিরোধীদের তুলোধনা দেবাংশুর।সোশ্যাল মিডিয়ায় দেবাংশু লিখেছেন,”একজন শিক্ষককে লাথি মারার চাইতে নিকৃষ্ট ঘটনা হতে পারেনা। এই বিষয়ে সুশীল সমাজ সহ বিরোধীদের প্রতিক্রিয়া ভুল নয়। সমর্থন করছি। কিন্তু একটা কথা বলবেন? কদিন আগে যাদবপুরে বামেদের ছাত্র-গুন্ডারা যখন দৌড়ে এসে অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্রের কোমরে লাথি মারলেন, তখন এই সুশীল সমাজ চুপ ছিলেন কেন? তখন এই বিরোধীরা মুখ বন্ধ রেখেছিলেন কেন? আমরা তো ওটারও বিরোধিতা করেছি, এটারও বিরোধিতা করছি। কিন্তু এই সমাজের কিছু ব্যক্তির কাছে কি লাথির প্রকারভেদ আছে? বাকি সব ক্ষেত্রে লাথির প্রতিক্রিয়া একরকম, কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত কেউ লাথি খেলে, সে যতই অধ্যাপক বা শিক্ষক হোক, সে ক্ষেত্রে স্পিকটি-নট থাকতে হবে? আগে নিজেরা নিরপেক্ষ হন। তারপর উল্টো দিকের থেকে নিরপেক্ষতা আশা করবেন।” কসবা কাণ্ডে যে দুটি মামলা দায়ের হয়েছে সেখানে কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়নি।