পেট্রোল দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি! কসবাকাণ্ডে ভিডিয়ো প্রকাশ কলকাতা পুলিশের

কসবায় ডিআই অফিস (DI Office,Kasba)অভিযান উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, রাজ্যের শাসক দলের তরফ থেকে আগেই এই অভিযোগ করা হয়েছিল। এবার বুধবারের ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ্যে আনলো কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। যেখানে দেখা গেছে, এক বিক্ষোভকারী চিৎকার করে বলছেন,” পেট্রল নিয়ে আয়, জ্বালিয়ে দেব।” ভিডিয়ো প্রকাশ করে এক্স হ্যান্ডলের পোস্টে লেখা হয়েছে, কিছু অসাধু ব্যক্তি গুজব ছড়াচ্ছেন যে, কলকাতা পুলিশের পোস্ট করা ভিডিয়োগুলি নাকি গতকালের (বুধবারের) ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। এ বিষয়ে স্পষ্ট করে জানানো হচ্ছে, শুধুমাত্র উপস্থাপনার স্বার্থে একাধিক ক্লিপ একত্র করে একটি ভিডিয়ো তৈরি করা হয়েছে। এই ধরনের অবিরত আগ্রাসী আচরণের মুখোমুখি হয়ে কলকাতা পুলিশ আত্মরক্ষার্থে সামান্য বলপ্রয়োগ করে ভিড় ছত্রভঙ্গ করতে বাধ্য হয় বলে জানিয়েছে লালবাজার (Lalbazar)।

সুপ্রিম রায়ে দিশেহারা চাকরিচ্যুতদের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই আলোচনার মাধ্যমে আইনি পরামর্শ নিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে। সেই আবহে দাঁড়িয়ে কিছু বিরোধী এবং মিডিয়াদের একাংশের প্ররোচনায় চাকরিহারাদের ডিআই অভিযানে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। আক্রান্ত হয় পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ‘সামান্য বলপ্রয়োগ’ করতে হয়েছে কলকাতা পুলিশকে। কসবার ঘটনা অনভিপ্রেত, কিন্তু সেই ঘটনাকে বিকৃত করে যেভাবে প্রচার করা হচ্ছে তার তীব্র বিরোধিতা করেছে রাজ্যের শাসকদল। বিক্ষোভকারীদের দাবি, পুলিশ তাঁদের মাটিতে ফেলে বুকে-পেটে লাথি মেরেছে, গলাধাক্কা দিয়ে বার করে দেওয়া হয়েছে। সেই সব ছবি-ভিডিয়ো নিমেষের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ে সমাজমাধ্যমে। গোটা ঘটনায় নেট মাধ্যমে রীতিমত সমালোচনার মুখে পড়তে হয় পুলিশকে। বিক্ষোভকারী চাকরিহারাদের লাথি মারা নিয়ে কলকাতা পুলিশের কমিশনার মনোজ ভার্মা সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছিলেন, ওই ভাবে লাথি মারা কখনওই কাম্য নয়। পুলিশকর্মীদের বলাই হয়েছে, এ রকম যাতে কিছু না ঘটে। কিন্তু এখানেও সবকিছুই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সেই বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই।