নিহতের দুই সন্তানের দায়িত্ব সাংসদদের, সামশেরগঞ্জে প্রতিশ্রুতি তৃণমূলের

মৃত চন্দন দাসের নাবালক দুই ছেলে এবং কোলের কন্যা সন্তানের পড়াশোনার যাবতীয় দায়িত্ব দুই তৃণমূল সাংসদ (TMC MPs) নিজেদের কাঁধে তুলে নিলেন

বিজেপির সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি থেকে বাংলার রাজনীতি বা সমাজ জীবনের সঙ্গে কোনওভাবেই মেলে না, ফের একবার তার নজির রাখল মুর্শিদাবাদই। হিংসার সামশেরগঞ্জে (Samsherganj) একদিকে ঘরছাড়া গ্রামবাসীদের আস্থা অর্জন করে ঘরে ফেরানোর প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করেছে রাজ্য প্রশাসন। অন্যদিকে যাঁরা সব হারিয়েছেন, তাঁদের পাশে দাঁড়াতে ও আস্থা ফিরিয়ে আনতে চলছে সব পক্ষের শান্তি বৈঠক (peace meeting)। এবার তারই অঙ্গ হিসাবে জাফরবাদে নিহত দুজনের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। পরিবারের আস্থা অর্জন করে তাঁদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিলেন।

জাফরাবাদে নিহত বাবা-ছেলের বাড়িতে রবিবার যান জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমান (Kahlilur Rahman), রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম (Samirul Islam) এবং সামশেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলাম (Amirul Islam)। মৃতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে সব রকমভাবে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন তৃণমূলের এই জনপ্রতিনিধিরা। পাশাপাশি মৃত চন্দন দাসের নাবালক দুই ছেলে এবং কোলের কন্যা সন্তানের পড়াশোনার যাবতীয় দায়িত্ব দুই তৃণমূল সাংসদ (TMC MPs) নিজেদের কাঁধে তুলে নিলেন। তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রের খবর, চন্দন দাসের দুই নাবালক সন্তান যদি বাইরে কোথাও পড়াশোনা করতে চায় তাহলে সেখানেও তাদের পড়াশোনার যাবতীয় ব্যবস্থা দুই সাংসদের তরফ থেকেই করে দেওয়া হবে। রবিবার মৃতদের বাড়ি গিয়ে এই প্রতিশ্রুতি দেন তাঁরা।

সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের অশান্তির মধ্যেই খুন হন বাবা-ছেলে হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাস। মুখ্যমন্ত্রী আগেই এই পরিবারের পাশে থাকবেন বলে জানিয়েছেন। পাশাপাশি রবিবার দলের তরফে এলাকার সাংসদ ও বিধায়কের দল গিয়েও পরিবারকে পাশে থাকার আশ্বাস ও ভরসা দিয়ে গেলেন।