Friday, November 7, 2025

শিক্ষামন্ত্রীর সমস্যা-আলোচনা ইতিবাচক: বিরোধীদের বাধার আশঙ্কায় শিক্ষকরা

Date:

বিরোধী বিজেপি-সিপিআইএমের চক্রান্তে যে রাজ্যের ২৫ হাজার ৭৫২ জনের চাকরি গিয়েছে আজ তা সকলের সামনে প্রমাণিত। চাকরি হারানো শিক্ষকরা স্পষ্ট বুঝে গিয়েছেন বাম-বিজেপির চক্রান্ত। আর চাকরি হারানোর পরেও সেই শিক্ষক সমাজকে নিয়েই রাজনীতির ময়দানে আবার বাম-বিজেপি। আইনি পথ ও আলোচনার মধ্যে দিয়ে শিক্ষক সমাজের পাশে রয়েছে রাজ্য সরকার তথা মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তা শুক্রবারের বৈঠকের পরে স্পষ্ট বুঝে গিয়েছেন শিক্ষকরা। তাঁদের প্রতিটি দাবি যেমন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু থেকে শিক্ষা দফতরের উচ্চপদস্থ কর্তারা শুনেছেন, তেমনই তাঁদের আইনি সহায়তারও বার্তা দিয়েছেন। তাতে অনেকটা ইতিবাচক শিক্ষক সমাজ, যা বৈঠক শেষে জানান তাঁরা। তবে পরবর্তী পদক্ষেপে আইনি পথে নিজেদের ন্যায্য চাকরি ফিরে পেতে একমাত্র বাধা শিক্ষকরা মনে করছেন বিরোধীদেরই। শিক্ষামন্ত্রীও স্পষ্ট করে দেন, ১৭ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের মামলায় কারা রাজ্যের বিরোধিতা করছে, তাতেই প্রমাণিত হবে এই চাকরি হারানোর পিছনে কারা রয়েছেন।

শুক্রবার বিকাশ ভবনে বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে নিজেদের দাবি পেশ করেন শিক্ষক সমাজের ১৩ প্রতিনিধি। রাজ্যের প্রশাসনের সঙ্গে তাঁদের বিস্তারিত আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের প্রতিনিধিরা দাবি করেন, সরকারের পক্ষে আংশিকভাবে কিছু দাবি মেনে নেওয়া সম্ভব হয়েছে। ওনারা আইনি পরামর্শের পর তালিকা প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেবেন। যদি ওনাদের আইনি পরামর্শে আটকে যায়, তখন আমরা আমাদের আইনি পরামর্শ নেব। আমরা আমাদের সমস্ত কথা তুলে ধরেছি, সব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আলোচনা হয়নি এমন কোনও সমস্যা নেই।

প্রায় আড়াই ঘণ্টা বৈঠক শেষে একটি সফল বৈঠকের বার্তাই দেন শিক্ষকরা। সেক্ষেত্রে তাঁরা তাকিয়ে রয়েছেন ১৭ এপ্রিলের দিকে, যেদিন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দায়ের করা বিশেষ আবেদনের শুনানি। ইতিমধ্যেই একাধিক বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা শিক্ষকদের সঙ্গে দেখা করা বা উস্কানি দেওয়ার চেষ্টা করেছে। তাঁদের সঙ্গে আদতে শিক্ষক সমাজের বর্তমান অবস্থানও বৈঠকের শেষে স্পষ্ট করে দেন চাকরিহারা শিক্ষাকরা। তাঁরা জানান, বিরোধীরা কোনও আইনি পদক্ষেপ করেছে? তারা বলছে ওরা দুর্নীতি করেছে আমরা কেন দায় নেব? বিকাশবাবু আজও সেরকম বলছে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ মিসলেনিয়াস আবেদন করেছে। ১৭ তারিখ সুপ্রিম কোর্টে বিপক্ষের আইনজীবীরাও থাকবে। পরের দিন বিরোধীরা আদালতে কোন স্ট্যান্ড নিচ্ছে তার উপর নির্ভর করবে আমাদের বিশ্লেষণ। আসলে তারা স্বান্ত্বনা দিচ্ছে না আসলে আমাদের পাশে আছে তারা।

বিরোধীদের অবস্থান নিয়ে স্বচ্ছতা ও চাকরিহারা শিক্ষকদের এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী কারা, তা ১৭ এপ্রিল প্রকাশ্যে আসার দাবি রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসুও জানান। বিকাশ ভবনে প্রায় আড়াই ঘণ্টার বৈঠক শেষে তিনি বলেন, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ একটা এসএলপি করেছেন। ১৭ তারিখ কারা বিরোধিতা করছেন তার মধ্যে দিয়েই প্রমাণিত হবে রাজনৈতিক কুম্ভীরাশ্রু কারা ফেলছেন। কোর্টে আমাদের, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছে কারা কারা, সেটা রাজ্যবাসীও বুঝতে পারবেন। কারা সত্যিই চাইছেন যোগ্যদের চাকরিটা থাকুক। আরা যোগ্যদেরও চাকরিটা বাতিল হয়ে যাক সেটা কারা কারা চান তা স্পষ্ট হয়ে যাবে।

শিক্ষকদের দাবি মেনে আইনি পরামর্শ নিয়ে যোগ্য-অযোগ্য তালিকা প্রকাশে রাজ্যের কোনও সমস্যা নেই তাও জানানো হয় বৈঠকে। সেক্ষেত্রে ২১ এপ্রিল বা তার পরবর্তী সময়ে সেই তালিকা প্রকাশ করা সম্ভব বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী। অন্যদিকে এসএসসি-র কাছে যে কোনও ওএমআর শিট নেই তা আদালতে স্পষ্ট করে দেওয়ার পরে শিক্ষক সমাজের সঙ্গে বৈঠকেও তা স্পষ্ট করে দেন ব্রাত্য। সিবিআই তাঁদের যে ওএমআর শিটের মিরর ইমেজ দিয়েছে তা প্রকাশের কথা বলে ব্রাত্য জানান, মিরর ইমেজও আইনি পরামর্শ অনুসারে তুলেই দেব। কোনও অসুবিধা নেই।

Related articles

ব্রিটিশ-তোষণে লেখা ‘জন গণ মন’! বিজেপি সাংসদের অপমানজনক মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ তৃণমূলের

ব্রিটিশদের তোষণ করতেই নাকি লেখা হয়েছিল ‘জন গণ মন’। ভারতের জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে এই ন্যক্কারজনক মন্তব্য করে ফের...

চিংড়িঘাটা মোড়ে যানজট কমাতে নতুন সেতু নির্মাণের উদ্যোগ কেএমডিএ-র

ইএম বাইপাসের চিংড়িঘাটা মোড়ে দীর্ঘদিনের যানজট সমস্যার সমাধানে বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে কেএমডিএ। শান্তিনগর খালের উপর বর্তমান সরু...

নামের বানানভুল থেকে ডিটেনশন আতঙ্ক! এসআইআর আতঙ্কে মানসিক চাপে সাঁইথিয়ায় মৃত্যু বৃদ্ধের

ইলামবাজারের ঘটনার পর ফের এসআইআর আতঙ্কে মৃত্যু বীরভূমে। হৃদরোগে প্রয়াত হলেন সাঁইথিয়া পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিমান...

বিহারে প্রথম দফায় অতিরিক্ত ভোটদানে নতুন সমীকরণ! চিন্তায় শাসক শিবির

বিহার বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোটদানের হার নিয়ে রাজনৈতিক চর্চা তুঙ্গে। বৃহস্পতিবার ১২১টি আসনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। নির্বাচনী...
Exit mobile version