সাহস দেখাল ইউনুস সরকার! মৌলবাদীদের হুমকি উপেক্ষা করে মঙ্গল শোভাযাত্রার অনুমতি 

নববর্ষকে ঘিরে মৌলবাদীদের হুমকিকে উপেক্ষা করে সাহসিকতার পরিচয় দিল অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সরকার। জামাতপন্থী কট্টরপন্থীদের একাধিক সংগঠন নববর্ষের ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ বন্ধ করার হুমকি দিলেও, সরকার সেই চাপে নতি স্বীকার করেনি। বরং শিক্ষা মন্ত্রণালয় নির্দেশ দিয়েছে, দেশের সব মাদ্রাসায় চৈত্র সংক্রান্তি ও বাংলা নববর্ষ পালন করা বাধ্যতামূলক।

বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রতীক ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নিয়ে মৌলবাদীরা বরাবরই আপত্তি জানিয়ে এসেছে। তারা একে ‘হিন্দু সংস্কৃতির অংশ’ বলে অপপ্রচার চালিয়ে উৎসব বন্ধ করার ষড়যন্ত্র করছিল। কিন্তু সরকার সেই ফতোয়া খারিজ করে জানিয়েছে, নববর্ষ একটি সার্বজনীন বাঙালি উৎসব এবং তা সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পালন করতে হবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সিদ্ধান্ত দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষার ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, মাদ্রাসাগুলিকেও নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চৈত্র সংক্রান্তি ও বাংলা নববর্ষকে উৎসবমুখর পরিবেশে পালন করতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ধর্মীয় বিভাজনের রাজনীতি নয়, বাঙালির ঐতিহ্য রক্ষাই এখন মুখ্য। ১৯৮৬ সাল থেকে শুরু হওয়া এই মঙ্গল শোভাযাত্রা ২০১৬ সালে ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নির্ধারিত সময়েই মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হবে। মৌলবাদীদের চাপের কাছে নতিস্বীকার নয়, সংস্কৃতির বিজয়েই ভরসা রাখছে বাংলাদেশের সচেতন নাগরিক সমাজ।

এই সাহসী পদক্ষেপে দেশের সংস্কৃতি প্রেমী ও সাধারণ মানুষ স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, ধর্মীয় উগ্রতার ঊর্ধ্বে উঠে সরকার যে ভূমিকা নিয়েছে, তা ভবিষ্যতের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

আরও পড়ুন – শিক্ষকদের বিক্ষোভে ফায়দা তোলার চেষ্টা! অভিজিৎ পৌঁছতেই শুনলেন ‘গে ব্যাক’

_

 

_

 

_

 

_

 

_