যুবভারতী স্টেডিয়ামে আইএসএল(ISL) ফাইনাল। বাংলার মাটিতে এতবড় খেলা। আর সেখানেই কিনা বাংলার ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের(Arup Biswas) আমন্ত্রন নেই। হ্যাঁ শুনতে অবাক লাগলেও, এমনটাই করেছে এফএসডিএল(Fsdl)। আর কয়েক ঘন্টা পরই বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে মাঠে নামবে মোহনবাগান সুপারজায়ান্ট(MBSG)। কিন্তু সেখানে বাংলার ক্রীড়ামন্ত্রীকে আমন্ত্রন জানানো হয়নি। এমনটা দেখার পরই নিজের ক্ষোভ আর ধরে রাখতে পারেননি মোহনবাগানের সহ সভাপতি কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh)। এফএসডিএলের এমন সিদ্ধান্তের পিছনে ফেডারেশন সভাপতি কল্যাণ চৌবের অঙ্গুলিহেলনের কথাই শোনাযাচ্ছে তাঁর মুখে। রাজনৈতিক অভিসন্ধির অভিযোগই আনছেন কুণাল ঘোষ।

দুবারে্র বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে(Kalyan Chaubey)। যদিও একবারও জেতেননি তিনি। তিনিই এখন সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সর্বময় কর্তা। এবার আইএসএলের(ISL) ফাইনালে রাজ্যের মন্ত্রীকেই আমন্ত্রন জানানো হল না। এরপরই কুণাল ঘোষের নিশানায় ফেডারেশন সভাপতি কল্যাণ চৌবে। এমন ঘটনার নিন্দা করার পাশাপাশি রাজনৈতিক কারণে ইচ্ছাকৃত ভাবে এমনটা ঘটানো হতে পারে বলেও সন্দেহ প্রকাশ করছেন কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh)।

তিনি সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছেন, “বাংলার মাটিতে একটা ফাইনাল হচ্ছে। মোহনবাগান খেলছে। মোহনবাগান বাংলার দল খেলছে, সেখানে রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রীকে আমন্ত্রণ করা হবে না। এটা এআআইএফএফের ওই বিজেপি সভাপতি, যে কোনওদিন ভারতের মূল একাদশে মাঠে নেমে খেলেনি। বিজেরপির সেই কল্যাণ চৌবের অঙ্গুলিহেলনে হচ্ছে কিনা এটাই একটা প্রশ্ন উঠছে। বাংলার মাটিতে একটা ফাইনাল হচ্ছে, মোহনবাগান বাংলারক দল খেলছে। সেখানে রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রীকে আমন্ত্রন জানানো হবে না, এটা চরম অসৌজন্য। এটা একটা নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রীকে বিরোধিতা করা”।

শোনাযাচ্ছে মোহনবাগানের(Mohunbagan) তরফ থেকেও নাকি আমন্ত্রন জানানো হয়নি অরূপ বিশ্বাসকে। সেই প্রসঙ্গেও মুখ খুলেছেন কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh)। তিনি সাংবাদিক সম্মেলন থেকেই জানিয়েছেন, “দেখুন আমি যতটুকু রাজ্যের মাননীয় ক্রীড়ামন্ত্রীকে তাঁর অবস্থানে তাঁকে ফোন করেছিলাম, কথা হয়েছে। তাঁর এটাও আক্ষেপ আনুষ্ঠানিকভাবে মোহনবাগান ক্লাবেরও তাঁকে পদমর্যাদায় মন্ত্রীর, মানে আমি ব্যক্তিগতভাবে বললাম বা সচিব ব্যক্তিগতভাবে বললেন, ফোন করলেন বিষয়টা তো সেরকম নয়। যেহেতু রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী সসম্মানে মোহনবাগানের কাছ থেকে তিনি একটা আমন্ত্রন আশা করেছিলেন। যেমন এফএসডিএল ওই বিজেপির কল্যাণ চৌবের অঙ্গুলিহেলনে সেই অভিযোগ আসছে, সেই প্রশ্ন আসছে তা খতিয়ে দেখতে হবে। যে বাংলার বুকে ফাইনাল হয় সেখানে বাংলার ক্রীড়ামন্ত্রীকে আমন্ত্রন করা হয় না। বাংলার দল খেলছে, মোহনবাগানের কাছ থেকেও তিনি একটা আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ আশা করেছিলেন। তাঁর একটা খারাপ লাগা কাজ করছে। তিনি বলেছেন যে তিনি মাঠে যাবেন না। আমার সঙ্গে সচিবের একপ্রস্থ কথা হয়েছে। আমি আরেকবার মাঠে যাচ্ছি”।



শনিবার রাতে যুবভারতী স্টেডিয়ামে ফাইনাল ম্যাচ। সেখানে অন্যান্য সমস্ত দলের কোচেদের পর্যন্ত আমন্ত্রন জানানো হয়েছে এফএসডিএলের তরফে। কিন্তু যে রাজ্যে ফাইনাল সেখানকারই ক্রীড়ামন্ত্রীকে আমন্ত্রন জানানো হল না। কেন এমন সিদ্ধান্ত। কল্যাণ চৌবের বিরুদ্ধে প্রশ্ন ওঠাটাই তো স্বাভাবিক। রাজনৈতিক নিশানার কথাই তো এখানে উঠে আসবে। শেষপর্যন্ত দেখার কী হয়।


–

–

–

–
–

–

–