কেন্দ্রের সরকার মুসলিম সম্প্রদায়কে বঞ্চিত করার লক্ষ্যে যে জনবিরোধী ওয়াকফ সংশোধনী (WAQF Amendment Act) আইন এনেছে। গোটা দেশে এই স্বৈরাচারী আইনের বিরোধিতায় বিক্ষোভ জারি। তা সত্ত্বেও বাংলার বিক্ষোভ ও তার জেরে অশান্তিতে নিয়ে রাজনীতিতে ব্যস্ত বাংলার বিজেপি নেতারা। ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের ধর্মীয় রাজনীতির অস্ত্র হিসাবে তুলে ধরা হচ্ছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) অশান্তির ঘটনাকে। অথচ বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় (Tripura) বারবার ওয়াকফ বিরোধী আন্দোলনে ব্যস্ত হতে হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহাকে। কৈলাশহরে ওয়াকফ বিরোধী আন্দোলনে এখনও পর্যন্ত ৭ পুলিশ কর্মীর আহত হয়েছে বলে দাবি মানিক সাহা প্রশাসনের। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয় যে কেন্দ্রীয় বাহিনী (central force) নামাতে বাধ্য হয় বিজেপি প্রশাসন।

ত্রিপুরার উনাকোটি জেলার কৈলাশহর (Kailashahar) এলাকায় যৌথ কমিটির একটি প্রতিবাদ মিছিল বের হয় ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায়। ত্রিপুরা পুলিশ সেই মিছিল কুবজার এলাকায় আটকে দেয় জাতি দাঙ্গার অজুহাত দিয়ে। সেখানেই বিক্ষোভকারী ও পুলিশের মধ্যে বচসা থেকে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে পড়ে। কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী ঘটনাস্থলেই প্রতিবাদে সামিল হয়।

বিক্ষোভকারীরা জেলা শাসকের দফতরের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পুলিশ উত্তপ্ত বিক্ষোভকারীদের হঠাতে লাঠিচার্জ (lathi charge) শুরু করে। প্রতিবাদে পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথরবৃষ্টি (stone pelting) শুরু হয়। সেখানেই আহত হন সাত পুলিশকর্মী। পুলিশের লাঠিতে আহত হন একাধিক প্রতিবাদীও। ঘটনাস্থল থেকেই সাতজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের তরফ থেকে টিয়ার গ্যাসের সেলও ফাটানো হয়।

এরপরই এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৬৩ ধারা প্রয়োগ করে ত্রিপুরা সরকার। তবে তাতেও নিশ্চিন্ত না হয়ে মোতায়েন করা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী (central force)। তবে গোটা ঘটনায় বিরোধী কংগ্রেস (Congress) ও সিপিআইএম-কে (CPIM) দায়ী করেছে শাসকদল বিজেপি। তাঁদের দাবি, কংগ্রেস ও সিপিআইএম পরিচালিত নাগরিক কমিটি বিক্ষোভের ডাক দিয়ে এলাকায় অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করেছে।



–


–

–

–

–
–

–
