কারা এসেছিল হামলা চালাতে, চিনতেই পারেননি সামশেরগঞ্জ, সুতির স্থানীয় বাসিন্দারা। রাজ্যের শাসকদলের পক্ষ থেকে এই ঘটনার তদন্ত দাবি করা হয়েছিল, আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে দুষ্কৃতীদের ঢুকিয়ে হিংসা ছড়ানো নিয়ে। এবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বিএসএফকে (BSF) কাঠগড়ায় তুললেন খোদ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary)। তাঁর মতে, বাংলাদেশ থেকে এসে বাংলাদেশ স্টাইলে লুঠ করেছে! ১০০ কোটি টাকার প্রপার্টি নষ্ট করেছে! এখানেই তৃণমূলের প্রশ্ন, যদি তাই হয়ে থাকে, তাহলে গাফিলতিটা কার? সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নয়?

সোমবার বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়ে মুর্শিদাবাদের হিংসার ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে গিয়ে বিএসএফ-এর উপর প্রশ্ন তুলে দেন। সেখানেই কার্যত তৃণমূলের সুরেই অভিযোগ তুলতে বাধ্য হন বিরোধী দলনেতা। তৃণমূলের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল, সীমান্তের ৫০ কিলোমিটার অঞ্চলে নিরাপত্তা-নজরদারির দায়িত্ব তো বিএসএফের (BSF) হাতে। তাহলে কীভাবে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে দুষ্কৃতীরা ঢুকছে? এই নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানাচ্ছে তৃণমূল। তাই নিয়ে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikary) বেফাঁস মন্তব্যের ভিডিও প্রকাশ করে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ লিখেছেন— বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে। বাংলাদেশ স্টাইলে। এটাই তো আমরা বলতে চাইছি। কেন্দ্রের বিএসএফ কী করছিল? তদন্ত চাইছি।

বিরোধী দলনেতার বক্তব্যের পরে সাংবাদিক বৈঠকেও কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকায় যে হিংসা ছড়িয়েছে, তাতে একটা নতুন অভিযোগ উঠছে। এলাকার মানুষই বলছেন, ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে যে প্রতিবাদ চলছে, সেখানে পড়শি দেশ থেকে গুন্ডাবাহিনী এসে উসকানি দিয়ে মানুষের ভিড়কে উত্তেজিত করে হিংসা ছড়িয়েছে, লুটপাট চালিয়েছে। তারপর ‘সেফ প্যাসেজে’ (safe passage) দেশে ফিরে গিয়েছে। আর এখানে বিজেপিকে রাজনৈতিক ইস্যু করার রসদ দিয়ে গিয়েছে। এটা একটা পরিকল্পিত স্ক্রিপ্ট কিনা, তদন্ত হওয়া দরকার! গায়ে সেনাবাহিনীর পোশাক, পায়ে চপ্পল! আর এটা শুধু আমি বলছি না। বিরোধী দলনেতাও বলছেন, বাংলাদেশ থেকে এসে বাংলাদেশ স্টাইলে লুটপাট করেছে। সীমান্ত কার পাহারা দেওয়ার কথা? কে ফেল করেছে? বিএসএফ! কে গুন্ডা ঢুকিয়েছে? বিএসএফের একাংশ! কার নির্দেশে ঢুকিয়েছে? দিল্লির একাংশের নির্দেশে! সব মিলিয়ে একটা গভীর চক্রান্ত চলছে। এর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রয়োজন। বিএসএফ ও শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্যকেও সেই তদন্তের আওতায় রাখতে হবে। আশা করি, বিরোধী দলনেতা মন্তব্য পাল্টাবেন না!

–



–


–

–

–

–
–

–
