সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চিহ্নিত: সামশেরগঞ্জ জোড়া খুনে গ্রেফতার ২ মূল পাণ্ডা

ঘটনার পরে দুজনেই পালিয়ে যায়। বীরভূমের মুরারই থানা এলাকা থেকে কালু নবাবকে ও মুর্শিদাবাদের সুতি থানা এলাকা থেকে দিলদার নবাবকে গ্রেফতার

যারা সন্ত্রাস, হিংসা চালিয়েছিল তাদের কাউকে রেয়াত করা হবে না, স্পষ্ট জানিয়েছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ (Samsherganj), সুতি এলাকায় একদিকে যেমন প্রাথমিক শান্তি প্রতিষ্ঠা ছিল রাজ্য পুলিশের মূল উদ্দেশ্য, তেমনই আরেক উদ্দেশ্য ছিল হিংসা ছড়ানো অপরাধীদের গ্রেফতারি। শান্তি ফিরিয়ে ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরানোর কাজ সোমবারই শুরু হয়েছিল। এবার সামশেরগঞ্জে বাবা-ছেলে খুনের ঘটনায় প্রথম গ্রেফতারি রাজ্য পুলিশের। জাফরাবাদ সংলগ্ন গ্রামের দুই ভাই – কালু নবাব ও দিলদার নবাবকে এই খুনের ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করল রাজ্য পুলিশ। পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, খুনের পরে বাংলাদেশ পালানোর পরিকল্পনা ছিল দুজনের।

একদিকে যেমন দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারি পুলিশের মূল লক্ষ্য ছিল। তেমনই কারা প্রকৃত দোষী সেটা বের করাও ছিল চ্যালেঞ্জ, জানিয়েছিলেন এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) জাভেদ শামিম। সেই মতো জাফরাবাদে হরগোবিন্দ দাস ও তাঁর ছেলে চন্দন দাসের খুনের ঘটনায় একটি সিট গঠন করে পুলিশ। এলাকার সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ (CCTV footage) দেখে ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে মূল অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে পুলিশ। সেই মতো জাফরাবাদের Jafrabad) পাশের গ্রাম দিগরার বাসিন্দা কালু নবাব ও দিলদার নবাবকে চিহ্নিত করা হয়। তাদের মোবাইলের লোকেশনে নজর রেখে সোমবারের সারারাতের অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা যায়।

রাজ্য পুলিশের এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতীম সরকার জানান, ঘটনার পরে দুজনেই পালিয়ে যায়। বীরভূমের মুরারই থানা এলাকা থেকে কালু নবাবকে ও মুর্শিদাবাদের সুতি থানা এলাকা থেকে দিলদার নবাবকে গ্রেফতার করা হয়। দুজনের বাংলাদেশে পালানোর ছক ছিল বলেও জানায় পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার পর্যন্ত অশান্তি ও হিংসার ঘটনায় ২২১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এলাকায় ক্রমাগত রুটমার্চ চালাচ্ছে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। তার জেরে ঘরে ফিরেছেন মালদহ ও ঝাড়খণ্ডে পালিয়ে যাওয়া বহু পরিবার। ধুলিয়ান শহরে বাজার খুলেছে মঙ্গলবার পয়লা বৈশাখের সকাল থেকে। তবে ভুয়ো খবর ছড়ানো নিয়ে এখনও পদক্ষেপ জারি। যে সব ফেক অ্যাকাউন্ট বা সাধারণ অ্যাকাউন্ট থেকে গুজব ছড়ানো হয়েছে সেগুলি নিয়েও জারি তৎপরতা। এখনও পর্যন্ত ১,০৯৩টি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে। পদক্ষেপ নেওয়া হবে সেইসব অ্যাকাউন্টের অপারেটরদের বিরুদ্ধেও।