সীমান্তে বিএসএফের গাফিলতিতেই যে মুর্শিদাবাদের হিংসার ঘটনা, এবার তা স্বীকার করে নিল কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (Ministry of Home Affairs)। অমিত শাহের দফতরের প্রাথমিক রিপোর্টে জানানো হয়েছে হিংসার ঘটনায় যুক্তরা বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকেই এসেছিল। বাংলার শাসক দলের পক্ষ থেকে বারবারই এই বিষয়টি তদন্ত তুলে ধরার দাবি জানানো হয়েছিল। সীমান্তে বিএসএফ-এর (BSF) ব্যর্থতাকে প্রশ্নের মুখে তুলেছিল শাসকদল তৃণমূল। এবার সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে থাকা বিএসএফের শীর্ষ মন্ত্রকের রিপোর্টেই প্রমাণিত হল তাদের ব্যর্থতা।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (MHA) সূত্রে জানা যায়, তাদের রিপোর্টে প্রাথমিকভাবে উঠে এসেছে স্থানীয় নেতৃত্ব ওয়াকফ বিরোধী আন্দোলন সংঘটিত করেছিল। সেখানেই ঢুকে পড়ে বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে আসা দুষ্কৃতীরা। যা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি পুলিশের পক্ষে। এবং পরিস্থিতি হিংসার রূপ নেয়। তড়িঘড়ি নিজেদের অপদার্থতা ঢাকতে রাজ্য পুলিশের পাশে দাঁড়িয়ে যাবতীয় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যসচিব (CS) ও রাজ্য পুলিশের ডিজির (DGP) সঙ্গে একাধিক বৈঠক সেরেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আধিকারিকরা। প্রতিদিন বিএসএফের (BSF) এডিজি এবং রাজ্য পুলিশের ডিজির মধ্যে বৈঠক চলছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে মূল অভিযুক্তদের খোঁজে তদন্তে এগিয়ে নিয়ে যেতে পুলিশকে সাহায্য করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী (central force)।

এই পরিস্থিতিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রিপোর্ট যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ যেখানে সীমান্তে বিএসএফের ব্যর্থতা আবারও প্রমাণিত। ফলে মুর্শিদাবাদ (Mrushidabad), উত্তর ২৪ পরগণাসহ তিন জেলায় অতিরিক্ত বিএসএফ (BSF) মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সেখানেই আবার প্রমাণিত তৃণমূলের তরফ থেকে যে চক্রান্তের অভিযোগ তোলা হচ্ছিল, তার সত্যতা কতটা। মুর্শিদাবাদের স্থানীয় বাসিন্দারা কেন দুষ্কৃতীদের চিনতে পারেনি, তারও ব্যাখ্যা স্পষ্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের (MHA) রিপোর্টে।



–


–

–

–

–
–

–
