একজন আর্জেন্তিনার(Argentina) কিংবদন্তি। আরেকজন আবার মাঠে নামেন ব্রাজিলের(Brazil) জার্সিতে। ফুটবল বিশ্বে দুই চির প্রতিদ্বন্দী দেশ। কিন্তু এই সমস্তকিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে তাদের বন্ধুত্ব। তারা হলেন লিওনেল মেসি(Lionel Messi) এবং দানি আলভেজ(Dani Alves)। জীবনের কঠিন সময়ে যখন সকলে পাশ থেকে সরে গিয়েছিলেন, সেই সময়ই দানি আলভেজ পাশে পেয়েছিলেন লিওনেল মেসিকে। উকিল ঠিক করে দেওয়া থেকে আর্থিক সাহায্য, সবকিছুই পেয়েছিলেন একমাত্র এলএম টেনের থেকে।

বার্সেলোনায়(Barcelona) তারা দীর্ঘদিন একসঙ্গে খেলেছেন। আলভেজের পাস থেকে বহু গোল করেছেন লিওনেল মেসি। মাঠের বাইরেও তাদের বন্ধুত্ব ছিল অন্যরকম। সেই বন্ধুর খারাপ সময়ে আর নিজেকে সরিয়ে রাখতে পারেননি লিওনেল মেসি। জেল থেকে বেড়োনর পর এক সংস্থায় এমনটাই জানিয়েছেন দানি আলভেজ(Dani Alves)। জামিনের টাকা থেকে উকিল ঠিক করা, সবই করেছেন এলএম টেন(Lionel Messi)।

দানি আলভেজ জানিয়েছেন, “যদিও আমার এটা বলার প্রয়োজন পরে না কিন্তু এদিন বলতে হবে। আমি প্রতারিত হয়েছিলাম আমার ছোটবেলার ক্লাব বার্সেলোনা থেকে। আমার পাশ থেকে সরে গিয়েছিলেন আমার বন্ধুরাও। আমি জেলে থাকাকালীন আর্থিকভাবে মেসি আমার সাহায্য করেছিলেন। এমনকি মামলা লড়াই করার জন্য আমার উকিলও ঠিক করে দিয়েছিলেন তিনি এবং আমি জেলে থাকাকালীন প্রতিদিন যে খোঁজ নিতেন তাঁর নাম মেসি। আমাকে মানসিকভাবে চাঙ্গা করতে আমাদের দুজনের ছবি হামেশাই পাঠাতেন লিওনেল মেসি। শুধুমাত্র তাই নয় আমার প্রথম জামিনের টাকাটাও দিয়েছিলেন তিনিই”।

শুধু আর্থিকভাবেই নয়। মানসিকভাবেও সবসময় দানি আলভেজকে ঠিক রাখার চেষ্টা করে গিয়েছিলেন এলএমটেন। জেল থেকে বেড়নোর পর সেই কথাই বারবার উঠে এসেছে আলভেজের মুখ থেকে। সঠিক বন্ধু যে কে সেটা খুব ভালভাবেই বুঝতে পেরেছেন তিনি। তাদের দেশ আলাদা হতে পারে। ক্লাবও এখন বদলে গিয়েছে। কিন্তু মেসি বন্ধুত্ব ভোলেননি।


বন্ধুর বিপদে তিনি সবার আগে এগিয়ে এসেছেন। যখন সকলে সরে গিয়েছিলেন, তখন একমাত্র এলএম টেনই রয়েছেন। বারবার তাঁকে বার্তা দিয়েছে মেসি। এখন আলভেজ(Dani Alves) জেলের বাইরে। ফুটবলে ফেরার চেষ্টাই হয়ত চালাচ্ছেন। সেখানেও যে মেসিকেই পাশে পাবেন সেই ব্যপারে কোনও দ্বিধা নেই দানি আলভেজের।

–

–

–

–

–

–

–